khaleda_zia_adalat

খালেদাকে হয়রানি করতেই সরকারি কব্জায় নিম্ন আদালত?

আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় জামিন বাতিল করে জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় আজ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বকশিবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালত।

কারণ হিসেবে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার আজ আদালতে উপস্থিত হয়ে অসমাপ্ত জবানবন্দি প্রদান ও জামিন আবেদন করার কথা ছিল। কিন্তু, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম দলগুলোর ডাকা হরতাল চলায় নিরাপত্তার কারণে তিনি যথা সময়ে আদালতে উপস্থিত হতে পারেন নি। তার আইনজীবীরা আবেদন করেছিলেন যে তিনি দুপুর ২ টায় আদালতে উপস্থিত হবেন। কিন্তু, আদালত তাদের আবেদন গ্রহণ না করে খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

এ গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে এখন রাজনৈতিক অঙ্গন, আইনজ্ঞসহ সব মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে।

প্রশ্ন উঠেছে, যে মামলাটি দীর্ঘদিন যাবত চলে আসছে সেই মামলায় বিচারকরা ২ ঘণ্টা ধৈর্য ধরতে পারলেন না কেন? মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারকরা এত তাড়াহুড়ো করছেন কেন? বিচারকরা কি নিজ থেকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন নাকি উপরের নির্দেশে করেছেন?

আর নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ সরকার কেন হাতে রাখতে চাইছে এটাও আজ প্রমাণ হয়েছে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করতেই সরকার অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখছে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অধস্তন আদালতের বিচারকদের আচরণ ও শৃঙ্খলাবিধি গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য বহুবার তাকিদ করার পরও সরকার সেটা করেনি। বিচারপতি সিনহা পদত্যাগ করার পর আইনমন্ত্রণালয় তড়িগড়ি করে নিজেদের মতো করে একটা শৃঙ্খলাবিধির খসড়া গেজেট করে তা সুপ্রিমকোর্টে জমা দিয়েছে। সরকার যেভাবে চাইছে সুপ্রিমকোর্টও সেটা মেনে নিয়েছে।

উৎসঃ   অ্যানালাইসিস বিডি

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin