bnp-flag

অনুমতি ছাড়াই সমাবেশের ‘ব্যাপক প্রস্তুতি’ বিএনপির

দশম সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিনটির স্মরণে ঢাকায় পুলিশের অনুমতি না পেলেও নয়াপল্টনে সমাবেশের ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্প‌তিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপি নেতা।

৫ জানুয়ারিকে বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ২০১৫ সাল থেকে। কিন্তু ২০১৬ সাল ছাড়া তারা এই দিনটিতে রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি পায়নি। এবারও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চেয়েছিল দলটি। কিন্তু সেদিন ধর্মভিত্তিক একটি দল আগেই সেখানে সমাবেশের অনুমতি পায়। এরপর বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে আবেদন করেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অনুমতি পাওয়া যায়নি বলেও জানান রিজভী। সেই সঙ্গে তাদেরকে না দিয়ে অন্য একটি দলকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার সমালোচনাও করেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘সোহরাওয়ারর্দী উদ্যানে একটি নাম না জানা সংগঠনকে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়ে যে নাটক করেছে সেই নাটকটি আসলে গণতন্ত্রের সাথে, জনগণের সাথে মশকরা। তবু আমরা এখনও আশা করব সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেবে।’

সভা-সমাবেশ করা রাজনৈতিক

বিএনপি নেতা বলেন, “বিএনপি তাদের সকল কর্মসুচি শান্তিপূর্ণ উপায়ে সম্পন্ন করে থাকে। অতীতে বিএনপির কর্মসচিতে বিশৃঙ্খলা হয়েছে এমন কোন নজির নেই। আগামীকালের ৫ জানুয়ারির ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ এর কর্মসুচিও বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে বদ্ধপরিকর।”

আওয়ামী লীগ নেতারাই পরিকল্পিতভাবে বিএনপির কর্মসূচির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে একটা অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।

আওয়ামী লীগের নেতারা রাজনীতিকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘ঢাকাসহ দেশব্যাপী সরকারের নির্দেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতনসহ নানাভাবে হয়রানি শুরু করেছে।’

সমাবেশের অনুমতি দেয়া সরকারের বিষয় নয়, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিষয়-আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্য নিয়েও কথা বলেন রিজভী। বলেন, ‘জনগণ জানে, আপনাদের হুকুম ছাড়া আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এক পা ফেলতে পারে না।’

‘শেখ হাসিনার অধীনে নয়, আগামী নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে’- কাদেরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘আমি ওবায়দুল কাদের সাহেবকে পরিস্কার বলতে চাই আপনার নেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে এবং সংসদ বহাল থাকলে সেই নির্বাচন কখনই সুষ্ঠ হবে না। সেটি হবে নির্বাচনের নামে ভোটকেন্দ্রে ভোটারবিহীন নির্বাচন, যাতে শুধুমাত্র আপনাদের নিজেদের পছন্দসই ব্যক্তিদের নাম বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।’

‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে। জনগণকে বাইরে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোকে বাইরে রেখে আর কোন জাতীয় নির্বাচন হবে না।’

(ঢাকাটাইমস

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin