Youtube বাটন এ ক্লিক করে সাবস্ক্রাইব করুন, সরাসরি খেলা দেখুন।
[sociallocker id=”5303″] [/sociallocker]Youtube বাটন এ ক্লিক করে সাবস্ক্রাইব করুন, সরাসরি খেলা দেখুন।
[sociallocker id=”5303″] [/sociallocker]টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের দেরাদুনের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ৮ উইকেটে হেরেছিল সাকিবরা।
ম্যাচের পিচ রিপোর্টে দেখা যায়, পিচটি কিছুটা স্লো এবং নিচু। তার উপর দেরাদুনে রাত নামলেই ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে যায় সবাই। এ কারণেই মূলত টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক সাকিব।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজকে ছাড়া এ ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিং লাইন-আপকে বেশ শক্ত পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে।
প্রস্তুতি ম্যাচের হারকে প্রস্তুতিতেই আটকে রাখুক বাংলাদেশ
আরও একটি টি-টোয়েন্টি লড়াই। ভারতের দেরাদুনে মুখোমুখি ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশ বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি আজ মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায়।
এমনিতেই ভারতের মাটিতে খেলা, তার উপর প্রতিপক্ষ চমক জাগানো দল আফগানিস্তান। টাইগার ক্রিকেট ভক্তদের তাই এই সিরিজটি নিয়ে আগ্রহ-উদ্দীপনার কমতি নেই।
তবে দুশ্চিন্তার বিষয় হলো, আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই সিরিজ শুরুর আগেই যেন নিজেদের খোলসবন্দী করে ফেলেছে বাংলাদেশ। আফগানরা টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে এগিয়ে, তাদের দলে বেশ কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় আছে-এমন নানা নেতিবাচক চিন্তায় যেন বুঁদ হয়ে আছে টাইগার দল।
একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে সেই নেতিবাচকতার প্রভাবটা ভালোভাবেই দেখা গেল। মাত্র কদিন আগে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া দলটির কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে নাস্তানাবুদ হলো সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর মতো অভিজ্ঞদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে আফগানিস্তান আট নাম্বারে। বাংলাদেশের অবস্থান দশম। সত্য অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু অভিজ্ঞতার বিচারে কি আফগানদের থেকে পিছিয়ে আছে টাইগাররা? টেস্ট আঙিনায় প্রায় ১৮ বছর কাটিয়ে ফেলা একটি দল নবীশ আফগানিস্তানকে যখন ভাবনার চেয়ে বেশি সমীহ করে ফেলে, তখন সাকিব আল হাসানদের এই অভিজ্ঞতার ঝুলিটা শূন্যই মনে হয়।
পরিসংখ্যানই তো বাংলাদেশকে সাহস দেয়ার জন্য যথেষ্ট। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাত্র একবারই মুখোমুখি হয়েছে টাইগাররা। ম্যাচটি ছিল ঢাকায় ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে। সেখানে আফগানদের ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল মুশফিকুর রহীমের নেতৃত্বাধীন দলটি।
সেই ম্যাচের কথা মনে করলে নিশ্চয়ই এখনও লজ্জাই হয় আফগানদের। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসান (৩/৮) আর আবদুর রাজ্জাকের (২/২০) বোলিং তোপে মাত্র ৭২ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল মোহাম্মদ নবীর দল। জবাবে এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত ৪৪ আর তামিম ইকবালের ২১ রানে ৮ ওভার হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
এমন একটি ম্যাচকে প্রেরণা না ধরে আফগানিস্তানের র্যাংকিং নিয়ে দুর্ভাবনায় পড়লে বিপদ তো ঘটতেই পারে। প্রস্তুতি ম্যাচে ৮ উইকেটের হারের পর সেই শঙ্কা আরও বড় করে ঘিরে ধরেছে টাইগার ক্রিকেট ভক্তদের।
তবে প্রস্তুতি ম্যাচের হারে কি আসে যায়! ২০১৫ বিশ্বকাপটা হতে পারে সবচেয়ে বড় উদাহরণ। সব কটি প্রস্তুতি ম্যাচ হেরে মূল আসরে খেলতে নামা বাংলাদেশ সেবারই প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছিল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে।
প্রস্তুতি ম্যাচকে তাই প্রস্তুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার সামনে আফগানরা কুলিয়ে উঠতে পারবে না, এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামা উচিত সাকিব-তামিম-মুশফিকদের।
বিরল আরেকটি রেকর্ডের সামনে সাকিব
সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ক্রিকেটে রেকর্ডের বরপুত্র। দেশের ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ডার। ক্যারিয়ারে কত যে রেকর্ড গড়েছেন, তার ইয়ত্তা নেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে হয়ে যেতে পারে তার আরেকটি বড় রেকর্ড, বিশ্বের মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে।
কি সে রেকর্ড? কিভাবে হবে? সাকিবকে অতিমানবীয় কিছু করতে হবে না। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দেরাদুনে আজ প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে দুটি উইকেট পেলেই বিরল কীর্তি গড়ে ফেলবেন টাইগার অলরাউন্ডার।
এই দুই উইকেট পেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ফরমেট মিলিয়ে ৫০০ উইকেট এবং ১০ হাজার রান করা তৃতীয় ক্রিকেটার হবেন সাকিব। তার আগে এই কীর্তি দেখাতে পেরেছেন কেবল পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস।
তবে একটি জায়গায় আর সবার চেয়ে এগিয়েই থাকবেন সাকিব। বিরল কীর্তিতে নাম লেখাতে আফ্রিদি আর ক্যালিসের লেগেছে ৫০০ ম্যাচেরও বেশি। আর আজকের ম্যাচটি হবে সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ৩০০তম ম্যাচ, সেটাও তো এক মাইলফলক!