khaleda_adalat

প্রধান বিচারপতির কাছে তিন যুক্তি তুলে ধরলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানি করতে কারাগারের ভেতরে স্থাপিত বিশেষায়িত আদালতের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন খালেদা জিয়ার সিনিয়র আইনজীবীরা।

রোববার দুপুরে প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় গিয়ে সাক্ষাত করেন বিএনপির আইনজীবীরা।

আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- খন্দকার মাহবুব হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, মীর নাসির উদ্দীন এবং বদরুদ্দোজা বাদল।

‘বিচারিক সীমা লঙ্ঘনকারীদের’ বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন তারা। যেখানে মূলত তিনটি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। যুক্তিগুলো হলো-

প্রথমত, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা ভালো না। তিনি গুরুতর অসুস্থ, তিনি হাঁটতে পারেন না। যা সরকারও স্বীকার করেছে। তবুও সরকার তার যথাযথ চিকিৎসার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

দ্বিতীয়ত, পরিত্যক্ত কারাগারে কোনো বিচার কাজ চলতে পারে না। যদি চলে- তা হবে অবৈধ।

তৃতীয়ত, দেশের কারাগারের তালিকা থেকে পরিত্যক্ত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটি এখনও বাদ দেয়া হয়নি- সে কারণে সুপ্রিমকোর্টের অনুমতি ছাড়া পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত স্থাপন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত।

লিখিত আবেদনে প্রধান বিচারপতিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, আমরা আপনার কাছে অনুরোধ করছি, যারা বিচারিক ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে এবং যে বিচারিক কর্মকর্তা তার বিচাররিক সীমা লঙ্ঘন করেছে- তাদের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্ট বাংলদেশ (হাইকোর্ট বিভাগ) ১৯৭৩ বিধি অনুযায়ী তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হোক।

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর মোট খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করা হয়েছে। সোমবার আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসতে পারে।

এদিকে বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন কারাবন্দি খালেদা জিয়া।

রোববার খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন। সোমবার রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।

উল্লেখ্য, জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার শুনানি এতদিন চলছিল কারাগারের কয়েকশ গজ দূরে বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন কারা অধিদফতরের মাঠে বিশেষ এজলাসে।

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে আদালত ঘোষণা করে সেখানেই দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার শুনানি করার নির্দেশ দেয়। এরপর বুধবার সেই আদালত বর্জন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

এ কারাগারেই আরেকটি ভবনের দোতলার একটি কক্ষে গত সাত মাস ধরে বন্দি রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি একই বিচারক তাকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন।

উৎসঃ   যুগান্তর

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin