গ্রীন সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা!

সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বাড়ির কাছাকাছি পৌছে অপেক্ষা করছিলেন গ্রীন সিগন্যালের। কিন্তু রেড সিগন্যাল আর সরেনি। লন্ডনে রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করে চলে গেছিলেন সিঙ্গাপুরে। আশা করেছিলেন রাষ্ট্রপতি দেশে ফিরে একটা বিহীত করবেন। সেই আশায় গুড়ে বালি পড়ার মত অবস্থা হয়েছে।
সিঙ্গাপুর থেকে তিনি চলে গেছেন কানাডায়। যাওয়ার আগে পদত্যাগ করে গেছেন বলেও খবর বের হয়েছে। আপাতত সিনহা বিষয়ক গুজবের অবসান হল।

এখন কি বলবেন বহুল প্রত্যাশিত গুজবের মেশিন গুলো। তারা এতদিন বলে আসছিলেন সিনহা বাবু দেশে ফিরবেন। পদে বসবেন। তাদের কল্পনার রাজ্যে ঘুরপাক খাওয়া রায় দিবেন। সরকারের পতন হবে সেই রায়ে। নিশ্চয়ই তারা নতুন কোন গল্প তৈরিতে এতক্ষণে বসে গেছেন। ঘুম থেকে উঠে দেখব হয়ত: একটা নতুন গল্প দিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে।

মামলা নেই মোকদ্দমা নেই রায় হয়ে গেছে। আজো দেখলাম একজন আমাকে ট্যাগ করেছেন ১৫৪জন সংসদ সদস্যকে অবৈধ ঘোষণার রায় নিয়ে লেখা একটি কাল্পনিক গল্প। এই গল্পে অবশ্য মামলার নাম দেওয়া হয়নি। তবে বলা হয়েছে ২২ আগষ্ট বাসভবনে বসে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এই রায় দিয়েছেন। খুব সুন্দর করেই বলা হয়েছে রায়ে আরো বলা হয়েছে বাস্তবায়নের আগে এটা প্রকাশ করা যাবে না।

হায়রে আল্লাহ। কই যামু এবার। নাম্বার ওয়ান হল প্রধান বিচারপতি একা রায় দেওয়ার কোন এখতিয়ার নেই। আপিল বিভাগের রায় হতে হলে কমপক্ষে ৩জন বিচারপতি উপস্থিত থাকতে হয়। সিনহা বাবুর সাথে বাসভবনে বাকী বিচারপতিরা কারা ছিলেন তাঁর কোন নিশানা নেই। কোন মামলায় তারা এই রায় দিয়েছেন। মামলার আবেদনকারী কে। আইনজীবী কে ছিলেন। সরকার পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলকে না জানিয়ে তো আর এতবড় মামলার শুনানী হওয়ার কথা নয়। সরকার পক্ষ এবং বাদী পক্ষের শুনানী লাগবে। মামলার নাম্বার লাগবে।

শুনানীর আগে সরকারের প্রতি কারন দর্শানোর রুল জারি হতে হবে। কোন কিছুই তো হল না। এতসব প্রক্রিয়া বাইপাস করে কি কখনো কোন ঘোষণা হতে পারে!!! এ গুলো তো একেবারেই মামলার সাধারণ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া গুলো বাইপাস করার কোন সুযোগ আছে বলে আমার অন্তত জানা নাই।
কিছুই নাই। তারপরও খুব সুন্দর গল্পে কল্পনার রাজ্য থেকে রায় বের হয়ে আসল।

যত বাধাই আসুক সমাবেশ সফল করবে বিএনপি ও জনগণ: ফখরুল

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রবিবার সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছেন বলে ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।

সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে জানতে সকালে ডিএমপির কার্যালয়ে যান এ্যানী এবং দলটির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন। পরে ডিএমপির পক্ষ থেকে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়। পরে অনুমতিপত্র নিয়ে তারা দলীয় কার্যালয়ে যান।

বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনের জন্য ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু ওইদিন সমাবেশের অনুমতি পায়নি দলটি। পরে ১২ নভেম্বর সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে দলটি। আজ ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলো।

প্রায় ৪২ বছর আগে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থানের এক পর্যায়ে ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনীর সৈনিক এবং সাধারণ জনগণকে নিয়ে বিপ্লব করার চেষ্টা করে জাসদ। আর সেনাবাহিনীর একাংশের হাতে বন্দী জিয়াউর রহমানকেও মুক্ত করে তারা। কিন্তু এই চেষ্টার নিয়ন্ত্রণ পরে জাসদের হাতছাড়া হয়ে যায় এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কাছাকাছি চলে আসেন জিয়াউর রহমান।

এই দিনটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে বিএনপি। দলটি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালে এদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে এই ছুটি বাতিল করা হয়। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দিনটিকে পালন করে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে।

গত কয়েক বছর ধরে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালনের জন্য সমাবেশের অনুমতি চেয়েও পাচ্ছে না বিএনপি। এবার প্রথমে ৮ নভেম্বর বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চেয়েছিল দলটি। কিন্তু একই সময় অন্য একটি সংগঠন সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে জানিয়ে কাউকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ডিএমপি।

পরে বারবার বিএনপির পক্ষ থেকে সমাবেশের অনুমতি পাওয়া নিয়ে আশাবাদের কথা বলা হয়। অবশেষে আজ সকালে তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

সূত্র: ঢাকাটাইমস

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin