khaleda_at_shomabesh

‘হাসিনার অধীনে তো কোনো নির্বাচনই হবে না’ – খালেদা জিয়ার পুরো বক্তব্য

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন, সড়কে বাস রেখে তাঁকেও সমাবেশস্থলে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে সরকার চেয়েছিল তিনি যেন সমাবেশস্থলে আসতে না পারেন। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, জনপ্রিয়তা থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। শেখ হাসিনার অধীনে তো নির্বাচন হবেই না।

আজ রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া এ অভিযোগ করেন। বক্তব্যের শুরুতেই খালেদা জিয়া বলেন, সরকার জনগণকে ভয় পায়। যার কারণে আজকের সমাবেশে জনগণকে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন জায়গায় দলের নেতা-কর্মীদের আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি আমার বাসভবন থেকে বেরিয়ে এসে গুলশানে দেখি রাস্তার মাঝামাঝি একটি বাস দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে যাত্রী নেই, চালকও নেই। এভাবে বাধা দিয়ে তারা (সরকার) আমাকেও সমাবেশস্থলে আসা থেকে বিরত রাখতে চেয়েছিল।’

বিএনপি চেয়ারপারসন সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের যদি সত্যিকারের নেতা-কর্মী থাকে, তাহলে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। হাসিনার অধীনে তো নির্বাচন হবেই না।’ তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নয়, যেকোনো জায়গায় সমাবেশ হলে বিএনপির নেতা-কর্মী এবং জনগণ আসবে। মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে। জনগণই বিএনপির ভরসা।

খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ব্যবস্থা নিতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। এখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে সরকারকে বোঝাতে হবে। এ জন্য নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার চলবে না এবং নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্য ইসিকে ভূমিকা রাখতে হবে।

সমাবেশ শুরুর পূর্বনির্ধারিত সময় ছিল বেলা দুইটা। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে স্টেজে বিএনপির বিভিন্ন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা বক্তব্য দেন। এ সময় ঢাকা মহানগর ও সারা দেশ থেকে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে যোগ দেন। এরপর বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে খালেদা জিয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।

এ সময় দলের নেতা-কর্মীরা করতালি এবং বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। বিএনপি চেয়ারপারসন উপস্থিত হওয়ার পর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যানরা প্রত্যেকে দুই মিনিট করে বক্তব্য দেন। এরপর বিকেল চারটায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শুরু করেন খালেদা জিয়া।

এক ঘণ্টার বক্তব্যে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দেশ ও জনগণের স্বার্থে সরকারকে জাতীয় ঐক্য গড়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকার গণতন্ত্রকে, জনগণকে ভয় পায়। বাকশালের মতো করে অঘোষিতভাবে বাকশাল গঠন করতে চায়। গত ১০ বছরে সরকার যেসব অন্যায়-জুলুম করেছে, তার হিসাব করুক। তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি ক্ষমা (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে) করে দেব, কিন্তু জনগণ ক্ষমা করবে না। আমরা দেশে গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চাই।’

দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে এই পরিবর্তন আসবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। জনগণ যাকে খুশি, তাকে ভোট দেবে। তিনি বলেন, ‘হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, হতে পারে না। এই সরকারের আমলে বিভিন্ন নির্বাচনে সরকার চুরি করে যেভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তা-ই প্রমাণ করে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আশ্বাস দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, সরকার সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের হয়তো বলে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তাদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা হবে। বিএনপি হিংসার রাজনীতি করে না। তিনি বলেন, ‘আমরা দক্ষতা-যোগ্যতা দেখব। বিএনপি বা আওয়ামী লীগ বলে কিছু নেই। দক্ষতা-যোগ্যতা দেখা হবে। বিএনপি লোক হত্যার রাজনীতি করে না। লোক হত্যার রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ।’

দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারকে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। তিনি বলেন, ‘আমরা সহিংসতার রাজনীতি করি না। আমরা আপনাদের (আওয়ামী লীগ) শুদ্ধ করব। আপনারা যে মানুষ মারেন, গুম, খুন করেন—এগুলো বাদ দিয়ে আপনাদের শুদ্ধ বানাব।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘চুরি করে জেতার মধ্যে আনন্দ নেই। আমরা জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করি। জনগণের জন্য আমাদের ভালোবাসা। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই।’

ইসির কাছে বিএনপি তাদের দাবির কথা বলে এসেছে জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ইসির কাছে সব দাবি বলে এসেছে বিএনপি। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘সিইসি কেন ইভিএমের কথা বলেন? এর মানে তাঁরা সরকারের কথা শোনেন? ইভিএম হবে না। ভোটে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে জবাব চেয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এই সরকার দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে। ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াতে চেয়েছিল। আজ ৭০ টাকা চালের কেজি। মানুষ কেন ৭০ টাকায় চাল কিনে খাচ্ছে, জবাব চাই হাসিনা।’ তিনি বলেন, প্রতিটি সবজির দাম ৭০ টাকার ওপরে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

সরকারের কিছু ‘টাউট-বাটপার’ দেশে সংকট তৈরি করছে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, সরকার কৃষককে বিনা মূল্যে সার দেওয়ার কথা বলেছিল। সেখানে এখন কৃষকদের মারার ব্যবস্থা করেছে সরকার। সরকারের কাছ থেকে কৃষি ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না কৃষক। জনগণের জীবন এখন দুর্বিষহ।

বক্তব্যের একপর্যায়ে খালেদা জিয়া স্টেজের সামনে থাকা ছাত্রদল কর্মীদের কাছে প্রশ্ন করেন, সরকার বলেছিল ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। তোমরা কি চাকরি পেয়েছ? চাকরি দিয়েছে? সরকার ঘরে ঘরে বেকার সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, সরকার কথায় কথায় উন্নয়নের কথা বলে। সরকার উন্নয়নের নামে লুটপাট চালাচ্ছে।

রাস্তা-সেতু বানিয়ে তা নির্মাণ–ত্রুটির কারণে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এ দেশে সড়ক নির্মাণে ইউরোপ-আমেরিকার তুলনায় ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি খরচ হয়। উন্নয়নের নামে নানা রকমের ‘ধাপ্পাবাজি’ চলছে। জনগণের সঙ্গে দীর্ঘদিন ‘ধোঁকাবাজি-অত্যাচার’ চলতে পারে না, এটা বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগকে গুম, খুনের রাজনীতি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, গুম–খুনের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। বিদেশিরাও বলছে, গুম–খুন বন্ধ করতে হবে। অথচ আওয়ামী লীগ গুম–খুনের কথা স্বীকার করতে চায় না। তিনি বলেন, ‘আমাদের কত নেতাকে গুম করে দেওয়া হলো। তাঁরা বিএনপি করে বলে তাঁদের গুম করে দেওয়া হলো।’

প্রধান বিচারপতিকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, দেশে বিচার বলে কিছু নেই। প্রধান বিচারপতিকে (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) পর্যন্ত জোর করে অসুস্থ বানিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বিদেশে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোক পাঠিয়ে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।

কারণ, প্রধান বিচারপতি সত্য কথা বলেছিলেন। তিনি (প্রধান বিচারপতি) বলেছিলেন, সরকার নিম্ন আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। এ ছাড়া উচ্চ আদালতের ওপরও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে—এ কারণেই তাঁকে বিদায় করা হলো।

খালেদা জিয়া সরকারের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ যেবারই ক্ষমতায় আসে, সেবারই শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি হয়। এবারও হয়েছে। গরিব মানুষের টাকা লুট করেছে সরকার। তিনি বলেন, ‘কখনো শুনিনি কোনো বাংলাদেশির টাকা সুইস ব্যাংকে আছে। আওয়ামী লীগের নেতারা জনগণের টাকা লুট করে, জনগণের রক্ত চুষে ফুলে ফেঁপে উঠছে।’

বক্তব্যের এ পর্যায়ে খালেদা জিয়া দেশের আর্থিক খাতের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি যেসব অ্যাকাউন্ট আছে, সেখানে ২০১৫ সালে এক বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। পানামা পেপারসে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত সাত বছরে ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে।

বিএনপি সংঘর্ষের রাজনীতি পছন্দ করে না উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি সংঘর্ষের রাজনীতি পছন্দ করে না। আজও আওয়ামী লীগ সংঘর্ষের চেষ্টা করেছিল। নেতা-কর্মীরা শান্ত থেকে সেটি মোকাবিলা করেছেন। বিএনপি গুণগত রাজনীতি করতে চায়। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সেই পথ তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, ‘একটি কার্যকর পার্লামেন্ট দেখতে চাই। যেখানে সরকার ও বিরোধী দল মিলে কথা বলে সমস্যার সমাধান করবে।’

মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা দেশের জন্য বড় সমস্যা। এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উচিত, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজেদের দেশে নিরাপদে ফেরত পাঠানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া। মিয়ানমারে তাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা। কারণ, তারা সেই দেশের নাগরিক, তারা বাংলাদেশের নাগরিক নয়।

খালেদা জিয়ার লন্ডনে চিকিৎসা চলার সময় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা বলেছিলেন, খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন না। এ বিষয়টি উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি বিদেশে থাকার সময় তারা (আওয়ামী লীগ) অপপ্রচার চালিয়েছে, আমি নাকি ফিরব না। আমার ঠিকানা বাংলাদেশ। এ দেশ ছেড়ে আমি কোথায় যাব?’ বিএনপির যেসব নেতা-কর্মী কারাগারে আছেন এবং যাদের সমাবেশ উপলক্ষে আটক করা হয়েছে, সবাইকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয় তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

সমাবেশের সভাপতি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র হত্যাকারী, লুটেরা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে। আওয়ামী লীগ ভোট দেওয়ার অধিকার লুট করেছে। রাজস্ব লুট করে দেশের সম্পদ নিয়ে যাচ্ছে। খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। জনগণ এর জবাব দেবে।

তাদেরও (আওয়ামী লীগ) বিচার করবে জনগণ। এই লুটেরা আওয়ামী লীগকে সিংহাসন থেকে সরাতে হবে, তাদের জনগণের আদালতে হাজির করতে হবে। তিন বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া কোনো নির্বাচন এ দেশে হবে না। শেখ হাসিনা, আপনি আসন থেকে সরে না দাঁড়ালে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, অবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আমানউল্লাহ, শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, এ জেড এম জাহিদ, আজম খান প্রমুখ।

সূত্র: প্রথম-আলো

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin