প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মমতাময়ী আর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যাবাদী উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ইউরোপের মতো ধনী দেশ যেখানে এক লাখ শরণার্থী আশ্রয় দিতে ভয় পেয়েছে সেখানে শেখ হাসিনা মায়ের মমতা দিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন- প্রয়োজন হলে খাবার ভাগ করে খাব তবুও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেব।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জামালপুরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া তিন মাস পর লন্ডন থেকে ঘুম ভেঙে এসে সহায়তার নামে লাখ লাখ টাকা অপচয় করে কক্সবাজারে গিয়ে বললেন আমরা নাকি কিছুই করিনি। আসলে খালেদা জিয়া একজন মিথ্যাবাদী। আগামী নির্বাচনে তার এই মিথ্যার জবাব এদেশের জনগণ দেবে।
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. মো. আব্দুল ওয়াকিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সংসদ সদস্য আলহাজ রেজাউল করিম হীরা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাকী বিল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা. মোশায়ের উল ইসলাম, পৌর মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি প্রমুখ।
এর আগে মন্ত্রী এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও ৫শ’ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
‘১৪ দলীয় জোট ভাঙলে বাংলাদেশ হবে রক্তাক্ত আফগানিস্তান’ – ইনু
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইনু বলেছেন, ১৪ দলীয় জোটের ঐক্য যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে বাংলাদেশ রক্তাক্ত আফগানিস্তান হয়ে যাবে। বাংলাদেশকে রক্তাক্ত আফগানিস্তান হতে দিতে পারি না বলেই চোখের মনির মত প্রয়োজনে হাজার বছরের ঐক্য রাখার দরকার। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, গতকালকে আমার নির্বাচনী এলাকায় এক সমাবেশে মহাজোটের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কিছু কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ হয়। আমি জোটের ঐক্যের পক্ষে গুরুত্ব আরোপ করে কথা বলেছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শরীক সকল দলের অতীত ইতিহাস জেনে-শুনে-বুঝে এই ঐক্যকে গড়ে তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী ৯৯ অথবা ৮০ পয়সার মালিক হয়েও ২০ অথবা ১ পয়সার মালিক সমতুল্য শরীকদেরক কদর করেছেন, দাম দিয়েছেন এবং ঐক্যে শামিল করেছেন। শেখ হাসিনা সবাইকে নিয়ে জঙ্গি এবং রাজাকার বিরোধী যে ঐক্য গড়ে তুলেছেন এটা একটা রাষ্ট্রনায়কাচিত প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, এই প্রজ্ঞা বা দূরদৃষ্টি শেখ হাসিনাকে জঙ্গিবাদ বিরোধী ঐক্যে সাফল্য এনে দিয়েছে। এ ঐক্যের ফলে ২০০৮ সালে জঙ্গিবাদ, রাজাকার ও বিএনপি চক্রদের পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয়, শেখ হাসিনার এ দূরদৃষ্টি এবং এ বলিষ্ট সিদ্ধান্তের পরেও কতিপয় নেতা ঐক্যকে খাটো করে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে থাকেন। ঐক্যের শরিকদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন এবং তাদের প্রতি তীর্যক মন্তব্য করেন। এটা ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার গড়ে তোলা এ ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। সেখানে ঐক্যের শরিকরা পরস্পর পরস্পরের প্রতি যেন শ্রদ্ধাবোধ রাখে। এ ঐক্য কে চোখের মনির মত আগলে রাখতে হবে। উন্নয়নের ধারা সমুন্নত রাখতে হাজার বছরের ঐক্য যদি করতে হয় তাহলে করতে হবে।