সম্প্রতি ময়মনসিংহে যুুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। তখন থেকেই তার রাজনীতিতে নামার বিষয়ে শুরু হয় গুঞ্জন।একটি জাতীয় দৈনিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এনিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ময়মনসিংহের মানুষেরা আমাকে খুব ভালোবাসে। অভিনেত্রী হিসেবেই কিন্তু যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমি প্রধান অতিথি হিসেবে ডাক পেয়েছি। সত্যি বলতে আমি আমার জেলার মানুষের পাশে থাকতে চাই। সেটা এমনিতেও হতে পারে আবার রাজনীতির মাধ্যমেও হতে পারে।
তবে এখনই রাজনীতিতে আসতে চান না জ্যোতিকা জ্যোতি। তিনি বলেন, এলাকার মানুষজনও চান আমি রাজনীতিতে আসি। নির্বাচনে অংশ নিই। এটা আসলে তাদের চাওয়া।আমি চাই তাদের প্রত্যাশা যেন নষ্ট না হয়।বর্তমানে রাজনীতিতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জ্যোতি। তিনি বলেন, দেশের প্রতি, সমাজের প্রতি ও এলাকার মানুষের প্রতি কিন্তু একটা দায়িত্ববোধ আছে সবার।সেক্ষেত্রে যদি রাজনীতি করতে হয়, আমি পিছপা হবো না। হয়তো আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমি আমার লক্ষ্যটা নির্ধারণ করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় যাবো।
আরো পড়ুন >> সমকামিতা প্রশ্নে ‘ধর্মগুরু’র ওপর চটেছেন সোনম
সমকামিতা প্রশ্ন নিয়ে ভারতীয় ধর্মগুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের ওপর চটেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুর।রবি শঙ্কর সম্প্রতি জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সমকামিতা নিয়ে বলেন,সমকামিতা হচ্ছে একটি ‘প্রবণতা’, যেটা পরবর্তী সময় বদলে যেতে পারে।এজন্য তাকে অসুস্থ মনে করার কোনো কারণ নেই। আবার তিনি কোনো গর্হিত কাজ করছেন এমন ভাবারও কোনো প্রয়োজন নেই।রবি শঙ্করের দাবি, তিনি তাঁর জীবনে বহু মানুষকে দেখেছেন, যাঁরা একসময় সমকামী ছিলেন, পরে বহুগামী হয়েছেন। অনেকে আবার সম্পূর্ণ স্ট্রেইট হয়েছেন। আবার অনেকে প্রথম জীবনে স্ট্রেইট হলেও, পরে সমকামী হয়েছেন এমন নিদর্শনও বহু রয়েছে।
ধর্মগুরুর এই মন্তব্যের পরই কার্যত ফুঁসে উঠেছেন সোনাম কাপুর। কোনো রাখঢাক না করেই টুইটারে বলেন, সমকামিতা কোনো প্রবণতা নয়, এটা সম্পূর্ণ একটি স্বাভাবিক যৌন চাহিদা। কাউকে এই কথা বলা যে, পরবর্তী সময় তাঁর যৌন চাহিদা বদলে যেতে পারে, সেটা একেবারেই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য। এমনকি সমকামিতাকে প্রবণতা হিসেবে বর্ণনা করা ঘুরিয়ে বিষয়টিকে একটি রোগ বলা একই ব্যাপার।তারপর অভিনেত্রী বলেন, হিন্দু ধর্ম এবং তাঁর ঐতিহ্য নিয়ে মত প্রকাশের আগে প্রত্যেকেরই উচিত সেটা ভালভাবে জানা এবং তারপর কথা বলা।
বিডি-প্রতিদিন