রাজনীতিতে আগ্রহ সিঁথির, উদ্বিগ্ন তারেক

গত কিছুদিন ধরেই বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে সিঁথি। সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি, বেগম জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকের স্ত্রী। কোকোর মৃত্যুর পর দুই সন্তান নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন সিঁথি। বিএনপির রাজনীতিতে তারেক জিয়ার দাপটে কখনোই স্থান হয়নি আরাফাত রহমান কোকোর। তাই কোকোর মৃত্যুর পর তার স্ত্রীও বিএনপিতে ছিলেন অনুল্লেখ্য।

কিন্ত বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার পর আলোচনায় আসেন সিঁথি। কারান্তরীন বেগম জিয়াকে দেখতে তিনবার বাংলাদেশে এসে তিনি পাদপ্রদীপে আসেন। এ সময় বিএনপির নেতৃত্বের কাছে সিঁথির গুরুত্ব বাড়ে। বিশেষ করে, বেগম জিয়ার অনেক নির্দেশনা এবং বার্তা বিএনপির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দকে পৌছে দিয়ে তিনি ক্ষমতাবান হন।

২০১৮ ‘র নির্বাচনের সময় বিএনপির অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী সিথির কাছে তদবির করেন। এ সময়ই বিভিন্ন এলাকার মনোনয়ন নিয়ে তারেক জিয়ার সঙ্গে সিঁথির দূরত্ব প্রকাশ্য হয়।

তবে, বিএনপির অনেক নেতাই মনে করেন, বিয়ের পর থেকে সিঁথির সঙ্গে তারেক জিয়ার দ্বন্ধ ছিলো। জিয়ার সন্তান হবার পরও সবকিছুতে তারেকের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে স্বামীর পক্ষে প্রকাশ্য হয়েছিলেন সিঁথি। আর একারণেই বেগম জিয়া বাধ্য হয়ে কোকোকে কিছু ব্যবসা দিয়েছিলেন। এখন বেগম জিয়াই সিঁথিকে রাজনৈতিক নানা কর্মকান্ডে টেনে আনছেন বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

লন্ডন থেকেই সিঁথি বেগম জিয়ার বিভিন্ন বার্তা নেতাদের কাছে দিচ্ছেন। নেতাদের কেউ কেউ তারেকের চেয়ে কোকোর সাথে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, ‘তারেক জিয়া কথা বলেন আদেশের সুরে। আমাদের সঙ্গে চাকর বাকরের মতো ব্যবহার করেন। আর সিঁথি ম্যাডাম আমাদের যথেষ্ট সম্মান দেখান। তিনি আমাদের মতামত গুরুত্ব দেন।’

জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপিতে কমিটি বাণিজ্য, মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে অস্থিরতা চলছে। এই অস্থিরতার অনেকেই কোকোর স্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন। সিঁথিও বিষয় গুলো টেলিফোনে বেগম জিয়াকে বলেছেন। বেগম জিয়া এ ব্যাপারে তার মতামত জানিয়েছেন সিঁথিকে।

ফলে বিএনপিতে এখন সিঁথি তারেক জিয়ার মুখপাত্রে পরিণত হয়েছেন। তারেকের অনেক সিদ্ধান্তই চ্যালেঞ্জের মুখে পরেছে। এ নিয়ে তারেক জিয়া উদ্বিগ্ন বলেও জানিয়েছেন, বিএনপি’র অনেক নেতা। তবে পারিবারিক বিরোধের জেরে বিএনপি নতুন বিভক্তির পথে যায় কিনা, সেটাও বিএনপির অনেক নেতাকে ভাবাচ্ছে।

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin