dudu

মিথ্যা মামলার কারণে আ.লীগের বিচার হবে: দুদু

এখন বাংলাদেশে মানুষের বাকস্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা, বলার স্বাধীনতা, ভোটাধিকার নাই। এমনকি সংগঠন করারও স্বাধীনতা নাই বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়ার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।

সংগঠনটির সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহসম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ইউনুস মৃধা, জিনাফের সভাপতি মিয়া মুহাম্মাদ আনোয়ার, শিক্ষক নেতা সেলিম মিয়া প্রমুখ।

শামসুজ্জামান দুদু সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্ষমতায় থাকার কারণে একদিন আপনাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ এই দেশ গণতান্ত্রিক মানুষের দেশ, এই দেশ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য। সেই গণতন্ত্র এখন বাংলাদেশে নেই।’

মানুষের বাকস্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা বলার স্বাধীনতা, ভোটাধিকার নেই। এমনকি সংগঠন করারও স্বাধীনতা নেই। দেশে এখন পুলিশ এবং বর্তমান অবৈধ সরকার ছাড়া আর কিছু নেই। ব্যাংক লুট হয়ে যাচ্ছে একটির পর আরেকটি, শেয়ার মার্কেট থেকে টাকা নয়-ছয় করা হচ্ছে। সেখানে কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন কি না জানা নেই।

শামসুজ্জামান দুদু আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আগামী দিনে যিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিবেন জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে তিনি খালেদা জিয়া। সেই খালেদা জিয়াকে অপমান করার জন্য, নাজেহাল করার জন্য, নির্যাতন করার জন্য তাঁকে বারবার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক শক্তিকে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য এটি করা হয়েছে।’

আ.লীগ বটবৃক্ষ, ধাক্কা দিয়ে সরানো যাবে না: ওবায়দুল কাদের
কোনো রকমের ধাক্কা দিয়ে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভবনের সামনে ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় ওবায়দুল কাদের এই মন্তব্য করেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটানো হবে—বিএনপির নেতাদের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব, ধাক্কা দিয়ে আওয়ামী লীগকে ফেলা যাবে না। আওয়ামী লীগ বিএনপি না। ওই মেয়র হানিফের জনতার মঞ্চের এক ধাক্কায় সরকারের পতন। মনে আছে? আওয়ামী লীগ সেই দল নয়। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই আওয়ামী লীগের শিকড় বাংলাদেশের মাটিতে এখন অনেক গভীরে, ধাক্কা দিয়ে এই বটবৃক্ষের পতন হবে না। এই রঙিন স্বপ্ন দেখছেন, দেখতে থাকেন। এই রঙিন স্বপ্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন দিয়ে, তার অর্জন দিয়ে গণঅভ্যুত্থান শব্দটিকে জাদুঘরে দিয়ে দিয়েছেন।

গণঅভ্যুত্থান এখন জাদুঘরে, গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নের নামান্তর। এই দুঃস্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই। দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নে এত খুশি যে আপনারা সাড়ে আট বছর বারে বারে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন, জনগণ সাড়া দেয়নি। সাড়ে আট বছরে সাড়া দেয়নি, আগামী এক বছরেও জনগণ আপনাদের ডাকে সাড়া দেবে না। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বস্বীকৃতি পাওয়ায় দেশে নবজাগরণ শুরু হয়ে গেছে। এই জাগরণের ঢেউকে নির্বাচনের আগপর্যন্ত রাখতে হবে। ঘরে ঘরে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিন, যোগ করেন কাদের।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মনে আছে, একানব্বইয়ে আমরা তো জিতেই গিয়েছি, নানান ষড়যন্ত্র ছিল। কিন্তু আমরা জিতেই গেছি, জেতার আগেই জিতে গেছি, এই মন-মানসিকতার পুনরাবৃত্তি যেন আগামী নির্বাচনে না হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় সেতুমন্ত্রী বলেন, শাহে আলম কই, মেয়র সাহেব কই, এদিকে আসো সাইদ খোকন ও মুরাদ। তিনি বলেন, এই দেখুন, এক হয়ে গেছে, সামান্য ভুল বোঝাবুঝি ছিল, এক হয়ে গেছে। মহানগর আওয়ামী লীগ এখন ঐক্যবদ্ধ। আজকে আমার এখানে আসার মূল উদ্দেশ্য নেতা মেয়র হানিফকে স্মরণ করতে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে সবার সামনে তুলে ধরা।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সভাপতিত্ব করেন মেয়র সাঈদ খোকন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাউন্সিলর আবু আহমেদ মান্নাফি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন,খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সূত্র: আরটিএনএন

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin