bnp-flag

ব্যাপক আয়োজনে কাউন্সিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি

চেয়ারপারসন কারাগারে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ভার্চুয়াল বক্তব্য প্রচারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা, করোনা মহামারিসহ নানা কারণে আটকে আছে বিএনপির কাউন্সিল। খালেদা জিয়া এখন শর্ত সাপেক্ষে মুক্ত। করোনায় বন্ধ হয়ে পড়া সাংগঠনিক কার্যক্রমও পুনরায় শুরু হয়েছে।

জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনগুলো কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীরাও চাঙ্গা। এই পরিস্থিতিতে দলের সপ্তম কাউন্সিল আয়োজন নিয়ে ভাবছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আর এই আয়োজন ভার্চুয়াল বা অনলাইন নয়, ব্যাপক কলেবরে করার চিন্তা-ভাবনা চলছে।

এ জন্য শীত মৌসুম সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে সব পর্যায়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। তাতে সাংগঠনিক জেলাগুলোর বাকি থাকা কমিটিগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশনাও থাকছে।

বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পর পর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সর্বশেষ দলের ষষ্ঠ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে ওই আয়োজনে তিন হাজারের বেশি কাউন্সিলর অংশ নেন।

একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হয়। সে সময় বিএনপির সপ্তম কাউন্সিল আয়োজন নিয়েও আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নানা কারণে তা হয়ে ওঠেনি। এরই মধ্যে করোনা মহামারিতে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রমও বন্ধ ছিল। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় এখন কাউন্সিল নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে।

জানা গেছে, বিএনপির ৮১টি সাংগঠনিক জেলায় কমিটি না থাকাকে কাউন্সিল আয়োজনে প্রধান বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এসব জেলা, থানা ও পৌর কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা পদাধিকারবলে জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য হন।

এখন কোনো জায়গায় কমিটি না থাকলে সেই স্থানের নেতারা কাউন্সিলে থাকতে পারবেন না। ডিসেম্বরের আগেই এই সমস্যা দূর করতে চিঠি ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দলের কাউন্সিল নিয়ে আমরা ভাবছি। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব তা অনুষ্ঠিত হবে।’

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিএনপি দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। এমন একটি সংগঠনের কাউন্সিল ভার্চুয়ালি বা অনলাইনে হয় না। কাউন্সিল মানে হলো ব্যাপক আয়োজন। প্রায় চার হাজারের মতো কাউন্সিলর রয়েছেন।

তারপর আছেন ডেলিগেটরা। কাউন্সিলে লাখ লাখ লোক সমবেত হয়। করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের কাউন্সিলটা নির্ধারিত সময়ে হয়নি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব দলের কাউন্সিল আয়োজন করা হবে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘শীত মৌসুমকে সামনে রেখে কাউন্সিলের কথা ভাবা হচ্ছে। বিষয়টি তৃণমূল থেকে সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ে জানানোর প্রস্তুতি চলছে। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে কাউন্সিলের কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে আরো দৃশ্যমান হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘অনেক সাংগঠনিক জেলার কমিটি গঠন আমরা প্রায় শেষ করে এনেছিলাম। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট স্থবিরতায় কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করা হয়নি, ঘোষণাও হয়নি। এখন ওই কমিটিগুলো নিয়ে আমরা আবার বসব। আশা করি, চলতি বছরের মধ্যেই শেষ করতে পারব।’

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin