b_jot

বি. চৌধুরীর বৈঠকে অংশ না নিলে জোট থেকে বাদের সিদ্ধান্ত

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ৫ দলীয় জোট ঘোষণা অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ডাকা তার বাসায় বৈঠকে গণফোরাম নেতৃবৃন্দ ও কাদের সিদ্দিকী না গেলে পরদিন শুক্রবার অনুষ্ঠেয় পরবর্তী বৈঠকে তার জন্য অপেক্ষা করা হবে।

ওইদিন তিনি বা তার দল বৈঠকে যোগ না দিলে প্রাথমিকভাবে তিন দল নিয়েই জোট ঘোষণার সিদ্ধান্ত হবে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়।গণফোরাম বৈঠকে যাবে না একথা আগেই বি চৌধুরীকে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কাদের সিদ্দিকীর যোগদান না করার ঘটনাটি ছিল অনেকটাই অপ্রত্যাশিত। তাই বৃহস্পতিবার অথবা পরদিন শুক্রবার অনুষ্ঠেয় পরবর্তী বৈঠকে কাদের সিদ্দিকীর জন্য অপেক্ষা করা হবে।

ওইদিন তিনি বা তার দল বৈঠকে যোগ না দিলে প্রাথমিকভাবে তিন দল নিয়েই জোট ঘোষণার সিদ্ধান্ত হবে।সূত্রমতে, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন এখনই জোট গঠন করার ব্যাপারে জোর না দিয়ে জোটের শরিকদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার বিষয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন।

তবে অন্য দলগুলো এই আশ্বাসে বিশ্বাস করতে রাজি নয়। ইতোমধ্যে বি চৌধুরীর বাসায় জোট গঠনে আগ্রহী দলগুলোর বৈঠকেও গণফোরামের কোনো নেতৃবৃন্দ যায়নি। এছাড়া বৈঠকে যাননি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও।সূত্র আরও জানায়, এই পাঁচদলীয় জোটের মূল কাজ হলো কর্মসূচি ভিত্তিক আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, নির্বাচনের পরে কিছু সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা, রাষ্ট্রের মূলনীতি-দুর্নীতি দমন, সন্ত্রাস দমন ও রাষ্ট্রের বিবেন্দ্রীকরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচিভিত্তিক প্রস্তাবনা ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হওয়া

সম্প্রতি গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেনের মতিঝিল চেম্বারে তাকে কবে জোটের ঘোষণা দিচ্ছেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এই মূহুর্তে বিভিন্ন দলের সঙ্গে ঐক্যের ব্যাপারে জোর দিচ্ছি, জোট নিয়ে নয়। জোট আরো পরে করা হবে। জনগণের মধ্যে ঐক্য দরকার, এ ঐক্য প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে শক্তির উৎস সৃষ্টি হবে। জনগণ, মানবতা, আইনের শাসন, সুশাসন, দুর্নীতিমুক্ত শাসন ও জনগণকে সু-সংগঠিত করে সব মিলে শক্তি সঞ্চয় করার চেষ্টা করছি। এখন সভা-সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ বাঁধা দেয়। আমরা ভাল নির্বাচন চাই, নির্বাচনকে ধ্বংস করে মানুষকে দাস বানানো যাবে না।

বিকল্পধারা বাংলাদেশ’র প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, আমরা রাজনৈতিক জোট গঠনের ব্যাপারের সমমনা পাঁচটি দল একাধিকবার বৈঠকে মিলিত হয়েছি। তবে, জোট করার ব্যাপারে সবদল ঐক্যমতে পৌঁছেছি। পুনরায় বৈঠক করে আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে জোট ঘোষণা করব।কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিককে আপনি সম্প্রতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসায় তার ডাকা বৈঠকে জাননি কেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি কোনো শত্রুকে অপমান করা পছন্দ করি না।

তবে, আমি শরীয়তপুর ছিলাম-যার ফলে অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসায় বৈঠকে যেতে পারিনি। আমি ঢাকার বাইরে থাকার বিষয়টি তাকে বৈঠকের আগেই জানিয়ে দিয়েছি।বাংলাদেশের কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিক বলেন, জোট করার ব্যাপারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা সবাই একত্রিত হয়ে জোটবদ্ধ হব। তবে, অচিরেই জোটবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা চলছে।

বহু বছর একসঙ্গে চলে এবারও জোট গঠন করতে পারলেন না বিকল্প ধারার সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি চৌধুরী) ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। উদারপন্থী বলে পরিচিত এ দুই নেতা বিকল্প একটি জোট গঠনের জন্য গত পাঁচ বছরে অন্তত ১০টি বৈঠক করেছেন।

সর্বশেষ গত শনিবার দলীয় বৈঠকে গণফোরাম ‘একলা চলার’ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ওই উদ্যোগ পুরোপুরি ভেস্তে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, তাদের (গণফোরাম) হয়তো কোনো অসুবিধা আছে, এ জন্য আসবে না।নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিকল্প জোট গঠনের প্রস্তুতি অনেক দিন ধরেই চলছে। এখন গণফোরাম যদি না থাকে সে ক্ষেত্রেও বসে থাকা যাবে না। বিকল্প রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে।

আমাদের সময়

‘খালেদাকে নির্বাচনের অযোগ্য করতে দেওয়া হবে না’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য করা এ দেশে হতে দেওয়া হবে না। যেসব রাজনীতিবিদ ক্ষমতার অপব্যবহার করেন, তাঁদের বিচার হবে জনগণের আদালতে।

আজ বুধবার খুলনা নগরের ইউনাইটেড ক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপি এর আয়োজন করে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে প্রতি সপ্তাহে আদালতে যেতে হয়। এটি লজ্জাজনক ব্যাপার।’ আগামী নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে দেশে খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো সংসদ নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনার অধীনেও কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা না করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে কি না, তা নিয়ে সমালোচকদের চিন্তা করতে হবে।’

আর নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ পরাজিত হলেও দলটির নেতাদের দেশত্যাগ করতে হবে না বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তবে তাঁদের শাসনামলে যত লুটপাট, দুর্নীতি, অনিয়ম, অপরাধ হয়েছে, তার জন্য নেতাদের আদালতে যেতে হতে পারে। তাঁর অভিযোগ, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে আওয়ামী লীগের জন্ম হলেও আজ তারা ওই আদর্শ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। তারা ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় থাকতে চায়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এম নুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, অনিন্দ্য ইসলাম প্রমুখ।

সূত্র: প্রথম-আলো

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin