বেগম জিয়া ও তারেক জিয়া দুজনই বিএনপি মহাসচিব পদে পরিবর্তন চান। বর্তমান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে এই বার্তাও দেয়া হয়েছে। মির্জা ফখরুলও মহাসচিব পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চান। কিন্তু খালেদা-তারেকের পছন্দের তালিকায় যাদের নাম আছে, তারা কেউই এই মুহূর্তে দলের মহাসচিবের দায়িত্ব গ্রহণে আগ্রহী নন।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, জিয়া পরিবার মহাসচিব পদের জন্য তিন ব্যক্তিকে পছন্দ করেছিলেন। এরা হলেন- আমীর খসরু মাহমুদ, ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন ও নজরুল ইসলাম খান।
খালেদা ও তারেকের দুজনেরই প্রথম পছন্দ ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ। লন্ডন থেকে তারেক জিয়া, আমীর খসরুর সঙ্গে দুদফা কথাও বলেছেন, তাকে মহাসচিব পদ নেয়ার প্রস্তাব দেন।
কিন্তু আমীর খসরু সাফ জানিয়ে দেন, এখন এই অবস্থায় মহাসচিব পদ গ্রহণের জন্য তিনি প্রস্তুত নন। এখন মহাসচিব পদ পরিবর্তন না করে বরং স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্ব দেন খসরু।
তিনি বিভিন্ন জেলা কমিটিগুলোকে কার্যকর এবং সচল করার ওপর গুরুত্ব দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আমীর খসরু এটাও বলেন যে, এখন মহাসচিব পরিবর্তন হলে ভুল বার্তা যাবে।
তারেক ও খালেদার পক্ষ থেকে স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু ড. খন্দকার মোশারফ মহাসচিব পরিবর্তনের আগে দলের নেতৃত্বের পরিবর্তন চান। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ড. মোশারফ বলেছেন, যারা দলের বিভিন্ন পদ দখল করে আছেন কিন্তু কোনো কাজ করছে না। তাদের আগে সরাতে হবে। শুধু মহাসচিব পরিবর্তন করে কোনো লাভ হবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে তারেকের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু নজরুল ইসলাম খান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ। মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালনের জন্য যে সক্ষমতা দরকার, তা তার এখন নেই। মহাসচিব দলের সার্বক্ষণিক পদ, এজন্য একজন সার্বক্ষণিক ‘নেতা’ প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রথম তিন পছন্দের কেউই আগ্রহী না হওয়ায়, তারেক এখন নতুন করে মহাসচিব পদে নেতা খুঁজছেন। এখন অপেক্ষাকৃত তরুণ। দীর্ঘদিন রাজনীতি করতে পারবেন এবং দলে গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে এমন কাউকে খোঁজা হচ্ছে। আর এরকম কাউকে না পাওয়া গেলে মির্জা ফখরুলকেই অকার্যকর মহাসচিব হিসেবেই রাখা হতে পারে বলেই আভাস দিয়েছে বিএনপির একাধিক সূত্র।
বাংলা ইনসাইডার