বিএনপির সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে ঢাকায় প্রবেশের বিভিন্ন পয়েন্টে দলটির নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ উদ্দেশ্যে ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-গাজীপুর এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপি মহাসচিবের। মির্জা ফখরুল পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আমরা সকাল থেকেই খবর পাচ্ছি, বিভিন্ন দিকে রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দিয়েছে। মহাসড়ক বন্ধ করেছে যেন নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে না পারেন।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই এমনটা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। দুপুরে সমাবেশ শুরু হবে এবং দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান পরিবর্তন ডটকমকে জানিয়েছেন, সমাবেশের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছে।
এদিকে, সমাবেশ সফল করতে সকাল থেকেই আসতে শুরু করেছেন দলের নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন আগামী জাতীয় নির্বাচন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, গণতন্ত্রহীনতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ সাধারণ মানুষের সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে ভাষণ দেবেন।
শনিবার সকালে ২৩টি শর্ত সাপেক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বিএনপিকে অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এর পরপরই নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে- এটা অন্যতম প্রধান শর্ত। এ ছাড়া সমাবেশ স্থল ও এর আশপাশে বিএনপিকেই তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে বলেছে ডিএমপি।
সমাবেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের করাও অন্যতম প্রধান শর্ত।
বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানে না আসতেও বলেছে ডিএমপি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ উনিশ মাস পর রাজধানীতে জনসভার আয়োজন করতে যাচ্ছে বিএনপি। এ সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের জনপ্রিয়তা বা জনসমর্থনের বিষয়টি জানান দিতে চায় দলটি।
সর্বশেষ, ২০১৬ সালের ১ মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে শ্রমিক সমাবেশ করে বিএনপি। এর আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। এর আগে ওই বছরের ৫ জানুয়ারি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার সুযোগ পায় দলটি।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তিতে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে সেই সমাবেশ করে বিএনপি। জাতীয়বাদী শ্রমিক দল এর আয়োজন করে।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের জনসমর্থন জানান দিতে আজকের সমাবেশেও ব্যাপক লোক সমাগম ঘটাতে চায় দলটি।