anisul_haq

বিএনপি না এলেও নির্বাচন হবে : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি না এলেও নির্বাচন হবে। বিএনপির জন্য সংবিধান পরিবর্তন করা হবে না। শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মেহারী ইউনিয়নের পুরকুইল গাউছিয়া হাবীবিয়া দরবার শরীফ মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্ট থেকে ১৬৭ বার সময় নেয়ার পর খালেদা জিয়ার মামলার কাজ শুরু হয়েছে। এখন উনি উনার বক্তব্য দিতে গিয়ে বলছেন বাংলাদেশে ন্যায় বিচার নেই। বাংলাদেশ নাকি নাই বিচারের দেশ।

তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার বানানই জানেন না। তিনি ন্যায় বিচার এবং নাই বিচারের পার্থক্যও বুঝেন না। ২১ বছর ক্ষমতায় থেকেও তিনি (খালেদা জিয়া) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেননি। উনি তো উনার স্বামী হত্যার বিচারও করেননি।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার আমলে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ সারাদেশের ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছিল। এসব ঘটনার কোনোটিরই বিচার হয়নি। মেহারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমরানুর রহমান জুয়েল, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান ভূইয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এম.এ.জি হাক্কানি প্রমুখ।

জাগো নিউজ

লুটেরা সরকার সবখানেই ব্যর্থ: বি. চৌধুরী

বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার লুটেরা সরকার। ভোটারবিহীন এ সরকার ক্ষমতায় এসে যেসব ওয়াদা দিয়েছিল তার একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। প্রশ্ন ফাঁস, দুর্নীতি, মাদক, গুম-খুন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।’শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ জনদল (বিজেডি) এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘এটা কোনো সরকার হলো, যে সরকার প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পারে না, সে সরকার নাকি দুর্নীতি ঠেকাবে? প্রশ্নফাঁস আমাদের লজ্জার। প্রশ্ন ফাঁসের ফলাফল ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ হবে। জাতিগতভাবে দুর্নীতিপ্রবণতা তৈরি করবে।’গুম-খুন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বি চৌধুরী বলেন, ‘পৃথিবীর অন্য দেশে গুম হয় খুন হয় মানছি। কিন্তু পার্থক্য হলো, সেসব দেশে খুন হলে খুনি ধরা পড়ে, গুম হলেও উদ্ধার হয়, ফিরে আসে। কিন্তু আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোটাই ব্যর্থ। খুন হলে খুনী থাকে অধরা, বিচার হয় না। আর গুম হলে তো কথাই নেই। ফেরে না অথবা লাশ পাওয়া যায়। কেউ ফিরলেও কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলে।’

রেহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, আপনারা নাকি চুক্তি করে আসলেন? কি চুক্তি জনগণকে জানান না কেন? আমরা কি বুঝি না, জানি না? সই করেছেন কিন্তু তা বাস্তবায়নের টাইম (তারিখ) নাই, জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করছে তার নামই নাই! এখন শুনতেছি রোহিঙ্গারা নাকি যাবে না, গেলেও মিয়ানমারে নয়, সেইফ জোনের ক্যাম্পে। তাহলে তাদের উপর যে নির্যাতন চলছে তা কি বন্ধ হবে? এসব ব্যাপারে সরকারের কোনো সফলতা নেই।তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত সহযোগীতা করেছে।

ইন্দিরা গান্ধি আমাদের স্বাধীনতার দাবির পক্ষে সমর্থন আদায়ে ৮টি দেশ ঘুরেছেন। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বের ক’টি দেশের সমর্থন পেয়েছেন। চীনকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। রাশিয়াও পাশে নেই। আর যে ভারতকে নিয়ে আপনাদের দাপট সেই ভারতও সমর্থনও দিলো না। এরপরেও নিজেদের সফল বলেন কি করে?

এ সরকার গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না দাবি করে বিদরুদ্দোজা বলেন, ৮ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ালেন? কার স্বার্থে? কি কথা দিয়েছিলেন? ভুলে গেছেন? এমন অবস্থায় সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখেন? সে আশা কখনো পূরণ হবে না।জনগণের মেরে দেয়া টাকা যায় কোথায়? খবর কি আসে না? কোন পণ্যটির দাম সাধারণের নাগালে। বেতন বাড়ান আপনার সরকারি চাকরিজীবীদের, আর ভোগে সাধারণ জনগণ।

১০ টাকায় চাল খাওয়াবেন বলেছিলেন। সে চাল এখন ৭০ টাকা। আমার তো মনে হয়, ‘তুলনা করলে বলবো সোনার চেয়ে চালের দাম বেশি।’বাংলাদেশ জনদলের চেয়ারম্যান ডা. এস এম শাহজাহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) কমরেড খালেকুজ্জামান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।

ব্রেকিংনিউজ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin