khaleda-hasina

বিএনপির আন্দোলন কেনো পাত্তা দিচ্ছে না আ.লীগ?

বিএনপি নেতারা প্রতিদিনই বলেছেন এ সরকারের পতন অনিবার্য ও সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এক সময় আওয়ামী লীগ দাবি করত তাদের সঙ্গে তরুণ সমাজ আছে। কিন্তু এখন এই তরুণরাই সরকারের পতন চায়। তারা চায় আওয়ামী লীগের এই দুঃশাসনের পাথর যেন তাদের বুকের ওপর থেকে সরে যায়।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, বারবার আন্দোলন করতে চাই না। নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে, একদিনের আন্দোলনেই সরকারের পতন ঘটানো হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সামনের দিনে সরকার পতন আন্দোলনের একটি সুনামি আসবে।

সেই সুনামিতে ইভিএমসহ সরকার ভেসে যাবে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যে কোনও সময় সরকারের পতন হবে। মানুষ সরকারের পতনের অপেক্ষায় রয়েছে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, মানুষ কখন আবোল তাবোল বকে? যখন মাথা খারাপ হয়ে যায়।

বিএনপির সরকার পতনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা বলেছেন সরকারের পতন নয় বিএনপির নেতাদের নিজেদেরই পতন হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিগত নির্বাচনের মতো যদি আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরেও বিএনপি-জামায়াত নাশকতার চেষ্টা করে, তবে তা প্রতিহত করা হবে। তিনি বলেন, ব্যর্থতার জন্য ‘টপ টু বটম’ বিএনপির সব নেতার পদত্যাগ করা উচিত।

নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি এবং আন্দোলনের হুমকির জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা কি নির্বাচন চায়, নাকি সরকার হঠাতে চায়? তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মওদুদ আহমদ, মোশাররফ হোসেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাইক দিয়ে কয়েকজনকে নিয়ে আওয়াজ দিলেই কি সরকার হটে যাবে?

এই সরকারের গণভিত্তি খুবই শক্তিশালী, এই সরকারের গণভিত্তি বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে প্রথিত। আমাদের শেকড় অনেক গভীরে। আমরা হঠাৎ করে এসে জনসমর্থনহীনভাবে সরকারে আসিনি। এটা যেন তারা ভুলে না যায়।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, কয়েকটি রাজনৈতিক দল জোট করছে। এটা করতেই পারে। তবে জোটের নামে নির্বাচন বানচাল বা জ্বালাও-পোড়াও করতে চাইলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বানচালের ক্ষমতা কারও নেই। নির্বাচনের মাধ্যমে দল সংগঠিত হয়। যারা নির্বাচন করবে না তাদের অবস্থা হবে মাওলানা ভাসানীর ন্যাপের মতো, এখন যাদের বাটি চালান দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না। ১৪ দলের মুখপাত্র, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দুনিয়ার কোনো শক্তি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঠেকাতে পারবে না বলে দৃঢ়তা প্রকাশ করলেন ।

তিনি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো ফাউল গেম খেলতে দেয়া হবে না। নাসিম বলেন, চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে। দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু অতীতের মতো ঐক্যবদ্ধ থেকে শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ষড়যন্ত্র মোকাবেলার ক্ষেত্রে চৌদ্দদল কাজ করছে এবং করবে।

উৎসঃ   amadershomoy

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin