টানা সাতদিন নানা কর্মসূচীর মধ্যে বিএনপি। আজও জতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ধর্ষণ বিরোধি সমাবেশ করেছে দলটি। কিন্তু সমাবেশে জনগণের সাড়া নেই। কর্মীরা ছাড়া সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ আন্দোলনে নেই।
একটু হতাশই হলেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। কর্মসূচী শেষে নিজেদের মধ্যে আলাপ করলেন। নিজেরাই উত্তর খুজলেন। বিএনপির নেতারা সবচেয়ে বড় কারণ খুঁজে পেলেন তা হলো, ‘জনগণকে আকৃষ্ট করার মতো নেতা নেই।’
একজন নেতা তো বলেই বসলেন, ‘ফখরুল, রিজভীকে দেখার জন্য লোক রাস্তায় নামবে কেন? এদের কথা কেন মানুষ আন্দোলন করবে।’ প্রবীণ বিএনপি’র একজন নেতা বললেন, ‘এরশাদ বিরোধী আন্দোলন হয়েছে দুই নেত্রীর জন্য। ২০১৪, ১৫ সালেও কিছু আন্দোলন হয়েছে বেগম জিয়ার কারিশমায়।’ ঐ নেতা বলেন, ‘আমরা ফালতু; শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া ছাড়া বাংলাদেশে বড় আন্দোলন সম্ভব না।’
এর মধ্যেই বিএনপির এক বিপ্লবী নেতা প্রস্তাব দিলেন, ম্যাডামকে বলেন একটা বিবৃতি দিতে। ঐ নেতা বিবৃতিতে কি লেখা থাকতে পারে তার এক সংক্ষিপ্ত বিবরণও দিলেন।’ অন্য এক নেতা বললেন, ‘এভাবে ম্যাডামকে দিয়ে একটি ভিডিও বার্তাও দেয়ানো গেলে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চোখ চিক চিক করে উঠলো। মোক্ষম সুযোগ। এ রকম বিবৃতির পর যদি খালেদার জামিন বাতিল হয়, তাহলে তো আরো সোনায় সোহাগা। আন্দোলন জনবিস্ফোরণে রূপ নেবে। মির্জা ফখরুল ফোন করলেন, বেগম জিয়ার বাসায়। ফোন ধরলেন একজন নিরাপত্তা কর্মী। জানিয়ে দিলেন যে, ‘ম্যাডাম রাজি থাকলে আপনাকে ফোন করা হবে।’
ঘন্টা খানেক পর, ‘ফিরোজা’ থেকে ফোন এলো ফখরুলের কাছে।’ একজন নারী কন্ঠ বললেন, কথা বলুন ম্যাডামের সঙ্গে। একটু বিরক্ত এবং রাগ মিশ্রিত কণ্ঠে বেগম জিয়া বললেন, ‘কি দরকার?’ মির্জা ফখরুল বললেন, ‘আমরা ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন জোরেশোরেই শুরু করেছি ম্যাডাম। মানুষও সরকারের উপর বিরক্ত। গোটা দেশ আপনার দিকে তাকিয়ে। আপনি যদি এ সম্পর্কে একটা বিবৃতি দিতেন, তাহলে আন্দোলন তীব্র এবং বেগবান হতো ম্যাডাম।’
মির্জা ফখরুলের এই কথার পর তীব্র স্বরে ‘শাট আপ’ বলে বেগম জিয়া লাইন কেটে দিলেন। এর খানিকক্ষণ পরই শামীম ইস্কান্দার ফোন করেন মির্জা ফখরুলকে। প্রচন্ড গালাগালি করে বিএনপি মহাসচিবকে বলেন, ‘এসব ফাজলামি আর করবেন না। ওনাকে নিয়ে খেলবেন না’ এরপর তিনিও ফোনের লাইন কেটে দেন।
বাংলা ইনসাইডার