ড: ফখরুদ্দিন আহমেদ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব। বাংলাদেশের সঙ্গে নাড়ির টান ছিন্ন করেছেন ১৯৭৮ সালে। দেশীয় আমলা থেকে হয়ে যান আন্তর্জাতিক আমলা।
চাকরী নেন বিশ্বব্যাংকে। বিশ্বব্যাংকে চাকরীর সূত্রে অবস্থান করেন ওয়াশিংটনে। কিন্তু ২০০০ সালে তিনি প্রথম বাড়ী কেনেন কানাডার টরেন্টোতে। বিশ্বব্যাংকের চাকরী শেষ করে তার কানাডায় স্থায়ী ভাবে বসবাসের কথা ছিলো।
কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট ক্ষমতায় এলে তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে নিয়োগ দেয়া হয়। উড়ে আসেন বাংলাদেশে। ২৯ নভেম্বর ২০০১ সালে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন।
২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে, ওয়াশিংটনে স্ত্রীর নামে একটি এপার্টমেন্ট কেনেন ড: ফখরুদ্দিন আহমেদ। গভর্নরের দায়িত্ব শেষ করেই, তিনি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফে) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি ফখরুদ্দিন আহমেদ সেনা সমর্থিত তত্বাবিধায়ক সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৯ সালে সাবেক এই আমলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি জমান। সেখানেই স্থায়ী ভাবে অবস্থান করছেন। দীর্ঘদিন দেশে চাকরী করেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন, ছিলেন তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান।
কিন্তু দেশে কোন সম্পদ নেই তার। মুন্সীগঞ্জে জন্ম হলেও সেখানে এক চিলতে জমি টুকুও বিক্রি করে দিয়েছেন। ঢাকায় তার দুটি ব্যাংক একাউন্ট থাকলেও সেগুলো এখন অকার্যকর। বাংলাদেশের এই খ্যাতিমান আমলা, নিজদেশে পরবাসী।
অবসরের পর পেনশন সহ সমুদয় টাকা নিয়ে গেছেন বিদেশে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার দুটি বাড়ী আছে। কানাডায় আছে দুটি বাড়ী। বছরে একবার কানাডায় গিয়ে থাকেন। ২০১০ সালে, তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং এর একটি অভিযোগ উত্থাপিত হয়।
ঐ অভিযোগে বলা হয়েছে দেশ থেকে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা তিনি অবৈধ ভাবে বিদেশে পাচার করেছেন। তার গুলশানের বাসভবন, মুন্সীগঞ্জের পৈত্রিক বাড়ী এবং জমি, পুরান ঢাকায় একটি বাড়ী তিনি বিক্রি করেছেন।
ঐ অর্থ সবই তিনি বিদেশে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু নানা কারনে এসব অভিযোগ নিয়ে আর তদন্ত হয়নি। আমলা হলেও তিনি একজন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। আর আমাদের সুশীলরা তো সব দুর্নীতির উর্ধ্বে।
বাংলা ইনসাইডার