ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) নির্বাচনে কারচুপি, অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেছে জাতীয়তাবাদী প্যানেল। এর আগে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের একটি প্যানেল ভোট বর্জন করে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ হোসেন ও প্রকৌশলী মিয়া মোহাম্মদ কাইউমের নেতৃত্বাধীন প্যানেলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত আইইবি নির্বাচনে তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এর মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের’ পক্ষ থেকে দুটি প্যানেল এবং জাতীয়তাবাদী সমর্থক প্রকৌশলীদের একটি প্যানেল। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের দুটি প্যানেলের মধ্যে একটির নেতৃত্ব দেন আইইবির বর্তমান ক্ষমতাসীনদের সমর্থক প্রকৌশলী মো. নুরুল হদার নেতৃত্বাধীন প্যানেল এবং অন্যটি বুয়েটের সাবেক ভিসি অধ্যাপক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন প্যানেল। জাতীয়তাবাদী সমর্থক প্রকৌশলীদের নেতৃত্ব দেন প্রকৌশলী মাহমুদ হোসেন ও প্রকৌশলী মিয়া মো. কাইউম।
জাতীয়তাবাদী সমর্থক প্রকৌশলীদের প্যানেলের পক্ষ থেকে প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, এবারের নির্বাচন আইইবির ইতিহাসে এক জঘন্যতম কলঙ্কের নির্বাচন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। বৈধ ভোটাররা ভোট দিতে লাইনে দাঁড়ালেও তাদের ব্যালট দেয়া হয়নি। বেলা আড়াইটার মধ্যেই সকল ব্যালট নিঃশেষ করে ফেলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রকৌশলী মাহমুদ হোসেন ও প্রকৌশলী মিয়া মো. কাইউম জানান, তারা নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে আবেদন করেছেন। আবেদনে বিভিন্ন অনিয়ম, অব্যস্থাপনা, জালিয়াতি ও ভুয়া ভোটের ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নির্বাচনে মোট ভোটার ১৮ হাজার ৮০৫ জন। ঢাকাসহ সারাদেশের ১৮টি কেন্দ্র এবং ৩২টি উপকেন্দ্রে ভোট হয়। ঢাকা কেন্দ্রে ভোটার ১২ হাজারের বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- প্রকৌশলী জাকির হোসেন, প্রকৌশলী নিয়াজ উদ্দিন মিয়া, প্রকৌশলী কে এম আসাদুজ্জামান, প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম ও প্রকৌশলী হাসিন আহমেদ। এছাড়াও আইইবির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী আ ন হ আকতার হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।