পদত্যাগ নিয়ে খালেদার সাক্ষাৎ চান ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের পদত্যাগ বা অপসারণ নিয়ে এখন বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা বলেছেন, যে কোনো সময়ে বিএনপির মহাসচিব পদে পরিবর্তন হতে পারে।

এ ব্যাপারে বেগম জিয়া মোটামুটি অনড় অবস্থানে বলেও বিএনপির একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন। তবে, লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া এখন পর্যন্ত ফখরুলের সরে যাওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেননি।

তারেক জিয়ার সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আসলে ঝুলে আছে বিএনপির মহাসচিব পরিবর্তন। তবে, তারেক জিয়াই মির্জা ফখরুলকে মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা প্রথম বলেছিলেন। সে সময় বেগম জিয়ার সম্মতি পাওয়া যায়নি, বলেই ওই সিদ্ধান্ত আটকে ছিল।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এখন আর মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চান না। তিনি নিজেই এই পদ থেকে সরে যেতে চেয়েছেন। আর এই সরে যাওয়ার জন্যই তিনি বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারকে টেলিফোন করেন। ওই টেলিফোনে বেগম জিয়ার কুশলাদি জানার পাশাপাশি তার (বেগম জিয়ার) সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান ফখরুল। শামীম ইস্কান্দার তাকে জানিয়েছেন যে, বেগম জিয়ার সঙ্গে কথা বলে এ সম্পর্কে তিনি ফখরুলকে জানাবেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিবেচনায় ৬ মাসের জামিন পান বেগম জিয়া। সম্প্রতি তার জামিনের মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন জামিন পেলেও এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেননি।

এমনকি কোনো রাজনৈতিক বিবৃতি প্রদান থেকেও তিনি নিজেকে দূরে রেখেছেন। এ সময় দুই ঈদে, স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বেগম জিয়া। তবে এই সাক্ষাৎ স্রেফ সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই জানিয়েছেন বিএনপির একাধিক নেতা। এ সময় বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তিনি টেলিফোনে আলাপও করেননি।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে বেগম জিয়া বিএনপি মহাসচিবের ওপর ক্ষুদ্ধ বলেই জানা গেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো মির্জা ফখরুলের উপর অসন্তুষ্ট বেগম জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার ও বোন সেলিমা ইসলাম।

তারা মনে করেন, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি মহাসচিব কিছুই করেননি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন মির্জা ফখরুল। তাই এখন দেখার বিষয় ফখরুল অপসারিত হন, নাকি স্বেচ্ছায় সরে যান।

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin