নেপথ্যে তারেক জিয়া

আজ অনেক দিন পর ঢাকা শহরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। হঠাৎ করেই প্রকাশ্য দিবালোকে কিছু সময় পরপর বাসে আগুন লাগানো হয়। সর্বশেষ খবরে পাওয়া গেছে যে, যুবদলের ক্যাডাররা এই হামলা চালিয়েছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, এই হামলার নির্দেশদাতা ছিলেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।

জানা গেছে, তারেক জিয়াই ঢাকার উত্তরা আসনে জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। জাহাঙ্গীর আলম একজন সশস্ত্র ক্যাডার এবং তারেক রহমানের খুব ঘনিষ্ঠ। তারেক রহমানের কাছ টাকা দিয়েই এই হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। দেখা গেছে, গত কিছু ধরেই বিএনপির লক্ষ্য ছিল চলমান উপ-নির্বাচন গুলোকে রাজনৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা। আজ উপ-নির্বাচনে উত্তরার একটি কেন্দ্রে বিএনপি শূন্য ভোট পেয়েছে।

বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দলের কোন কেন্দ্রে শূন্য ভোট পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। জানা গেছে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গিয়ে বিএনপি এমনভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে যে, দলটির কর্মীরাই নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছে না, ভোট দিচ্ছে না। আর এইভাবে বিএনপি প্রমাণ করতে চাইছে যে, এই নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয় এবং দলীয় সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু হয় না।

এটির পাশপাশি এই নির্বাচনকে ইস্যু করে তারা পুরো ঢাকা শহরে বাসে আগুন দিয়ে এক ধরণের নাশকতা ও তাণ্ডব তৈরি করে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের চেষ্টা করছে। আর এই পুরো পরিকল্পনাটাই তারেক জিয়া করেছেন বলে বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

যদিও বিএনপির অনেক নেতাই মনে করছেন যে, এখন এই রকম আন্দোলন করার বাস্তবতা নেই। তারেক জিয়ার যে, পরিকল্পনার কথা বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারমধ্যে রয়েছে।

প্রথমত, নির্বাচনের ফলে কর্মীদের মধ্যে এক ধরণের উত্তেজনা তৈরি হবে তখন ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলা ও দুর্বৃত্তায়ন করার ফলে জনমনে এক ধরণের আতঙ্ক তৈরি হবে। আর এই আতঙ্ক দূর করার জন্য সরকার স্বাভাবিকভাবে বিএনপির যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের নামে মামলা করবে। আর এই ঘটনাকে পুঁজি করে বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করবে।

ওসি প্রদীপ কিংবা এসআই আকবরের ঘটনার কারণে এখন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা হতোদ্যম অবস্থায় আছে। সেই বাস্তবতায় তারা মনে করছে এখন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারি কম। সেইসাথে মানসিকভাবেও একটা দুর্বল অবস্থায় আছে। আর এই সুযোগটা নিয়েই তারেক এখন দেশে একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

তবে বিএনপির একাধিক নেতা বলেছে যে, তারেক জিয়া দীর্ঘ ১৩ বছর দেশের বাইরে। দেশের মানুষের পরিবর্তিত মানসিক অবস্থা সম্পর্কে তারেক অবহিত নয়। দেশের মানুষ এখন জ্বালাও, পোড়াও, ভাংচুর এসব মোটেও পছন্দ করে না। তারচেয়ে বড় কথা হল, করোনার কারণে মানুষ এখন অর্থসহ জীবনযাপনের নানা রকম সংকটে ভুগছে। এই সময়ে মানুষ আন্দোলনে আগ্রহী নয়। এই ধরণের ঘটনা বিএনপি কে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

তবে যুবদলের একাধিক নেতা জানিয়েছে, বাসে আগুন দেওয়ার জন্য তারেক পুরস্কারও ঘোষণা করেছে। আর পুরস্কারের এই অর্থ যুবদলের সাবেক নেতা মির্জা আব্বাসের মাধ্যমে বাসে আগুন দেওয়া দুষ্কৃতিকারীদের পৌঁছে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। এই ঘটনার পর সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া হয়েছে নেতিবাচক। তারা এই করোনার সময়ে নাশকতা তাণ্ডবের প্রচণ্ড বিরোধিতা করছে।    

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin