দলীয় নেতাকর্মীদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘কখনোই হতাশার কথা বলবেন না। হতাশা দিয়ে কখনও লড়াই করা যায় না। যা করবেন আশা নিয়ে করতে হবে। গণতন্ত্রের সূর্য উঠবেই।’
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরে কৌশল’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে এগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব)।
আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনব্যবস্থায় বিশ্বাসী অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “খুব ইন্টারেস্টিং লাগে—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রত্যেক দিন একটাই কাজ হলো বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলা। তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, ‘বিএনপি নাই, বিএনপি নাই।’ আসলে বিএনপি এত বেশি করে আছে, এত প্রবলভাবে আছে যে, তিনি প্রত্যেক দিন বিএনপিকে নিয়েই কথা বলেন।”
চতুর্দিকে দুর্নীতি দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার যে ভাষ্য দেয়, তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনও মিল নেই। দুর্ভাগ্য যে ভারত স্বীকার করেছে, তাদের প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ কমে গেছে, অথচ আমাদের সরকার বলে প্রবৃদ্ধি ১০ ভাগ বেড়ে গেছে। ইউ জাস্ট ইমাজিন, একটা সরকার কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে জনগণের সঙ্গে এমন মিথ্যা বলতে পারে। এর কারণ জনগণের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই।’
পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে জিডিপির ১৮ শতাংশ আর কৃষি ক্ষেত্রে এক দশমিক ৮ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘জনগণের ওপর স্টিম রুলার চালাতে তাদের এই পাবিলক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বাড়াতে হবে। তাদের খুশি রাখতে হবে।
সবাইকে গাড়ি প্রণোদনা দিতে হবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিশেষ বাহিনীর লোকদের গাড়ি কেনার জন্য ৩০ লাখ করে টাকা দিয়েছে। এখন উপসচিব পর্যন্ত গাড়ি কেনার টাকা পায়। সেই গাড়ি মেইনটেন্যান্সের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা পাবে। আর কৃষক ও ভ্যান চালকরা খাবার পায় না।’
অ্যাবের আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. একে ফজলুল হক ভূইয়া, বিএনপির স্বনির্ভর-বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।
বাংলা ট্রিবিউন