atok_chatrodol

নতুন মামলায় ছাত্রদল সম্পাদক আকরাম গ্রেফতার

রাজধানীর মতিঝিল থানার নাশকতার এক নতুন মামলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সোমবার মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম শেখ ছামিদুল ইসলাম তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করেন এবং রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

অন্যদিকে এদিন পল্টন থানার পৃথক দুই মামলায় ৮ দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এর প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শেখ ছামিদুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে ১৮ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই পল্টন থানার এক মামলায় ৫ দিন ও আরেক মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য, ১৭ নভেম্বর প্রেসক্লাব থেকে যাওয়ার পথে পুরানা পল্টন এলাকা থেকে আকরামুল হাসান মিন্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

‘৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতিতে গাত্রদাহ হচ্ছে বিএনপির’

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম সেরা ভাষণ এবং প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে। কারণ তারা এ ভাষণকে এবং ভাষণের গুরুত্বকে ক্রমাগতভাবে অস্বীকার করেছে এবং ইতিহাস বিকৃতি করেছে।

সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

 হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর তার এ ভাষণ বাজানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল এবং রাষ্ট্রীয় প্রচারযন্ত্র থেকে নির্বাসিত করেছিল। তাই এ ভাষণের স্বীকৃতিতে তাদের এত গাত্রদাহ।

হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের মধ্য দিয়ে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। এ ভাষণটি ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক। ইউনেস্কো এ ভাষণের স্বীকৃতিতে বলেছে, ‘দিস স্পিচ ইফেক্টিভলি ডিক্লেয়ার্ড দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্সি অব বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘এ ভাষণের স্বীকৃতি দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের অর্জন। তাই ২৫ নভেম্বর রাষ্ট্রের কর্মচারীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ ও আনন্দ র‌্যালি করেছে। এটি কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ ছিল না এবং এখানে কোনো রাজনৈতিক নেতা বক্তব্য দেননি। শুধু বক্তব্য দিয়েছেন রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মচারীরা আর দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর এ সমাবেশকে রিজভীসহ বিএনপির অন্যান্য শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা আহম্মকের মতো রাজনৈতিক সমাবেশ বলে মিথ্যাচার করছেন।’

বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে কটাক্ষ করে দেয়া মির্জা ফখরুল ইসলামের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন- ইকোনমিক ইনডেক্স, সোশ্যাল ইনডেক্স, হেলথ ইনডেক্স, হিউম্যান ইনডেক্স, এসব নিয়ে একটু পড়াশোনা করুন। ২০১৭ সালের সঙ্গে বিগত দিনের ইনডেক্সগুলো মিলিয়ে দেখুন। ২০০৮ সালে মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলার। বর্তমানে তা ১৬১০ ডলার।

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৮ সালে দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল ৪০ শতাংশ মানুষের বসবাস। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ। বিদ্যুৎ সুবিধার আওতার ছিল ৪০ শতাংশ মানুষ। এখন তা ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে পৃথিবীর বেশ কিছু ক্রেডিবল সংস্থা এগুলোর প্রশংসা করেছে। কিন্তু মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা এগুলোকে অস্বীকার করে চলেছেন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের সাম্প্রতিক সময়ের কথাবার্তায় কোনো প্রকার শালীনতা খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি অতি অসম্মানজনকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপারে কথা বলেন। তার এখনকার কথাবার্তা উন্মাদের প্রলাপ বলেই মনে হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

জাগো নিউজ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin