তারেকের বিরুদ্ধে ‘একট্টা’ জিয়া পরিবার

বিএনপির কর্তৃত্ব নিয়ে বিএনপিতে ‘গৃহদাহ’ এখন চুড়ান্ত রূপ নিয়েছে। তারেক জিয়ার পাঠানো বিএনপির অন্তত দুটি জেলা কমিটির ঘোষনা দেয়া হয়নি। জানা গেছে, বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার খালেদার পক্ষ থেকে ঐ কমিটির ব্যাপারে আপত্তির কথা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিবকে।

একই ভাবে যুবদলের পূর্নাঙ্গ কমিটিও আটকে গেছে এই দ্বন্দ্বে। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপিতে তারেক জিয়ার একাধিপত্য, স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে এক হয়েছেন জিয়া পরিবারের তিন সদস্য।

এরা হলেন, প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি, বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এবং বোন সেলিনা ইসলাম। অথচ ওয়ান ইলেভেনের আগে, এমনকি ২০১৮র ফেব্রুয়ারিতে বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার আগেও, এই তিনজন ছিলেন বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কহীন।

বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার পর, তাকে কারাগারে দেখতে যাওয়ার মধ্যে দিয়েই পাদপ্রদীপে আসেন এই তিনজন। এসময় দলের অনেক নেতার কাছে বেগম জিয়া গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠান এদের মাধ্যমে। এরফলে দলে তাদের গুরুত্ব বাড়ে। অনেক নেতাই বিভিন্ন তথ্য এবং জিজ্ঞাস্য এই তিনজনের মাধ্যমে বেগম জিয়ার কাছে পাঠান।

ফলে, বেগম জিয়া কি ভাবছেন, কি বলছেন, তার জন্য বিএনপি নেতারা এদের দিকেই তাকিয়ে থাকেন। বিএনপি যখন আন্দোলন এবং আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হন, তখন শামীম ইস্কান্দার এবং তার বোন বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য তৎপর হন।

তারা সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করে বেগম জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থা করেন। এখান থেকেই তারেকের সঙ্গে শামীম ইস্কান্দার এবং সেলিনা ইসলামের বিরোধের সূত্রপাত হয় বলে বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্র মতে, তারেক এভাবে বেগম জিয়ার মুক্তিকে অসম্মানজনক বলে মনে করতেন। এরফলে বেগম জিয়া এবং বিএনপির রাজনীতির বড় ক্ষতি হয়েছে বলেও তারেক জিয়া মনে করেন। গত ২৫ মার্চ বেগম জিয়া মুক্ত হবার পর বিএনপিতে শামীম ইস্কান্দারদের গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়।

বেগম জিয়ার সঙ্গে বিএনপির নেতৃবৃন্দের দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ। এর মধ্যে বেগম জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সেতুবন্ধন হন শামীম ইস্কান্দার এবং সেলিনা ইসলাম। আর বেগম জিয়া কারান্তরীন থাকার সময় ঝুকি নিয়ে লন্ডন থেকে ঢাকায় এসে সিথিও এখন বিএনপির নেতাদের প্রিয়পাত্র।

এরকম পরিস্থিতিতে, তারেকের চেয়ে এই তিনজনের প্রতি আকৃষ্ট বিএনপির নেতাকর্মীরা। কারণ তারা এখন বেগম জিয়ার মুখপাত্র। আর এই তিনজনই নানা কারণে তারেক বিরোধি।

এখন বিএনপি নেতাদের কাছে তারেক জিয়ার নানা স্বেচ্ছাবারিতার কথা শুনে, তারা এখন বিএনপিতেও তারেক বিরোধ অবস্থান এবং বলয় তৈরী করছেন বলে জানা গেছে। এরফলে বিএনপির রাজনীতিতে নাটকীয় মেরুকরণ তৈরী হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin