ডা. কামালকে বিএনপিতে যোগ দেয়ার প্রস্তাব তারেকের

গণফোরাম ভেঙ্গে গেছে। ড. কামাল হোসেনের ২৭ বছরের ঘনিষ্ঠতম দুই রাজনৈতিক সহকর্মী তাকে ছেড়ে গেছেন। এদের একজন এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী অন্যজন মোস্তাফা মোহসীন মন্টু। এই দুজনকে বলা হতো, ড. কামালের ডান  হাত আর বাম হাত।

স্বাভাবিক ভাবেই মনোকষ্টে আছেন ড. কামাল হোসেন। এই দুঃখে তাকে (ড. কামালকে) সান্তনা দিতেই আজ (রোববার) বিকেলে ফোন করেন তারেক জিয়া। ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে তার টেলি আলাপ চলে প্রায় ১২ মিনিট।

এ সময় তারেক জিয়া ড. কামাল হোসেনকে বিএনপিতে যোগ দেয়ার প্রস্তাব দেন। তারেক বলেন, ‘স্যার এখন ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। আপনি বিএনপিতে আসুন। আমি আপনাকে সম্মানিত করবো।’ শুধু ড. কামাল হোসেনকে একা নয় জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের অন্য নেতাদের জন্যও বিএনপির দরজা খোলা বলেও জানান তারেক জিয়া।

আ.স.ম আবদুর রব, মাহামুদুর রহমান মান্না এবং ড. জাফর উল্লাহকে বিএনপিতে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিতেও তারেক ড. কামালকে অনুরোধ করেন। ড. কামাল হোসেনের ঘনিষ্ঠরা এবং বিএনপির একাধিক নেতা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে, ড. কামাল হোসেনকে ফোন করার আগে তারেক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর মির্জা ফখরুল ড. কামাল হোসেনকে টেলিফোন করে জানান যে, তারেক জিয়া তার সঙ্গে কথা বলতে চান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে, ড. কামাল হোসেন তারেকের ঐ প্রস্তাবে সাড়া দেননি। বরং তিনি বলেছেন ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমেই ঐক্য হতে পারে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব দেন ড. কামাল হোসেন।

অভিযোগ করেন, বিএনপির অনেকেই শুনি ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে, এটা তো ঠিক না। ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘বিএনপি বিএনপির মতো থাকুক। সবাই মিলে ঐক্য ফ্রন্ট এগিয়ে নেয়া দরকার।’ উল্লেখ্য ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে নাটকীয় ভাবে ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়।

এ সময় অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বাদ দিয়ে ড. কামালকে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক করা হয় তারেকের আগ্রহেই। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভরাডুবির পর ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে বিএনপির মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

বেগম জিয়া নিজেও ঐক্যফ্রন্টের বিপক্ষে বলেও বিএনপির একাধিক নেতা জানান। এ রকম বাস্তবতায় একমাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া কোন নেতাই ঐক্য ফ্রন্টের বৈঠকে যেতে অনাগ্রহী হয়ে উঠেন। এরকম বাস্তবতায় ঐক্যফ্রন্ট কার্যত: নিস্ক্রিয়।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin