ছোলেমা খাতুন ওরফে সাদিয়া আক্তার তমা। বি গ্রেড বাংলা সিনেমার, সি গ্রেড নায়িকা।
প্রধান শখ : বিয়ে করা। উদ্দেশ্য : বিনোদন ও প্রতারনা। হাতিয়ার : মামলা আর দেনমোহর।
এখন পর্যন্ত যার বিবাহিত স্বামীর সংখ্যা ২০ জন। তমার এ প্রতারণার কাহিনী উঠে এসেছে বেসরকারি স্যাচেলাইট চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের অনুসন্ধানী টিম আন্ডারকভারের ক্যামেরায়। ২৯তম এ পর্বের নাম ‘এক ফুল ২০ মালি’।
টিম আন্ডারকভারকে তমার দ্বিতীয় স্বামী স্বপন শেখ বলেন, ২০০০ সাল থেকে আমাদের পরিচয়। গার্মেন্টস থেকে। তারপর আমরা বিয়ে করি ২০০৯ সালে।
২০১৩ পর্যন্ত আমরা ভালই ছিলাম। ২০১৩ থেকে সে মাঝে-মাঝে উধাও হয়ে যেত। ২০১৬ তেও সে উধাও। ২০১৬ সালে আমি তার নামে একটা মামলা করি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি সে ২০টা বিয়ে করেছে। তার ১ম স্বামী সেলিম মিয়া। তাকে বিয়ে করছে আমার আগে, ২০০১ সালে। তারপর আমার সাথে বিয়ে হইলো ২০০৯ সালে। তখনতো সে আর কুমারী না। সে কুমারী লেখছে। অনেক বিয়ে সে ৩ দিনের জন্য করছে। আমার বাসার সব কিছু নিয়েই সে উধাও হয়ে গেছে। সব কিছু নিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
সাদিয়া আক্তার তমা’র আরেক স্বামী আব্দুর রহিম মিঠু বলেন, আমাকে এক প্রকার জিম্মি করে এটা করা হয়েছে। আর্থিকভাবে, মানহানিভাবে, মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। দুইটা মামলা করছে। প্রায় দেড় মাস জেলে ছিলাম।
‘অশালীন’ পোশাক পরতে বলায় ১০টি ছবির প্রস্তাব নাকচ প্রিয়াঙ্কার!
ধীরে ধীরে বলিউডে যৌন হেনস্থার অস্তিত্ব নিয়ে সরব হচ্ছেন বিভিন্ন অভিনেত্রীরা। দিন কয়েক আগে মুখ খুলেছিলেন স্বারা ভাস্কর।
একটু অন্যভাবে হলেও সরব হন বিদ্যা বালান। এবার প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি তার মা মধু চোপড়া এমন তথ্য ফাঁস করেছেন।
মধু চোপড়ার দাবি, তার মেয়ে প্রায় ১০টি ছবির প্রস্তাব ফিরিয়েছেন। কারণ, সেখানে তাকে অশালীন স্বল্প পোশাক পরার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এক জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠিত পরিচালকের পক্ষ থেকে। তবে সেই সমস্ত অফারকে তুড়ি মেরে উড়িয়েও, আজ নিজের অভিনয় প্রতিভার ওপর নির্ভর করে নিজেকে একজন বিশ্বমানের অভিনেত্রী হিসেবে শুধু বলিউড নয়, হলিউডেও প্রতিষ্ঠিত করেছেন পিগি চোপস। ইউনিসেফের গুডউইল দূত হিসেবেও কাজ করছেন প্রিয়াঙ্কা। এছাড়া তার টিভি শো কোয়ান্টিকোও বিশালভাবে সফল হয়েছে। প্রাক্তন এই মিস ওয়ার্ল্ড নিজের যোগ্যতায় আজ এক অন্য পর্যায়ে উর্ত্তীর্ণ হয়েছেন।
তবে কোনও সাফল্য, জনপ্রিয়তাই খুব সহজে আসে না, প্রচুর লড়াই করতে হয়েছে তার মেয়েকেও, জানিয়েছেন অভিনেত্রীর মা মধু চোপড়া। এখন একটি প্রযোজনা সংস্থাও চালান প্রিয়াঙ্কা। সেই পার্পেল পেবেলস পিকচার্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হলেন প্রিয়াঙ্কার মা মধু।
এক সাক্ষাতকারেই মধু জানিয়েছেন, সেই জনপ্রিয় পরিচালক বলেছিলেন, মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জয় করে কী লাভ, যদি তিনি নিজেকে, তার সুন্দর শরীরকে ক্যামেরার সামনে তুলে ধরতেই না পারেন। তবে প্রিয়াঙ্কা আপত্তি করায়, সেই পরিচালক খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন মধু।
তবে মেয়ের এই সিদ্ধান্তে মা হিসেবে গর্বিত মধু। কারণ, কোনও কিছুতেই জীবন শেষ হয়ে যায় না। একজনের জীবনে তার আত্মসম্মান অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, নিজেকে সম্পূর্ণ কারও সামনে বিকিয়ে দেওয়ার আগে।
নিজের মূল্যবোধের সঙ্গে কখনও কারও আপোস করা উচিত নয়, সে পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক, মত প্রিয়াঙ্কার মায়ের। একজন যদি নিজের মতো করে সাফল্যকে অর্জন করতে চান, সেই পথ কঠিন হয়, কিন্তু শেষটা মধুর হয়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রত্যেক মানুষের বিশেষত মেয়েদের এটা মেনে চলা উচিত, মত মধু চোপড়ার।
সূত্র: অনলাইন ডেস্ক