মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ করতে চান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। মুসলিম বিশ্বের প্রতিক্রিয়া অনিশ্চিত হওয়ায় তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করার কথাও জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণার আগ পর্যন্ত ফিলিস্তিন ইস্যুতে নিজেকে ‘চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে দাবি করে আসা এরদোয়ান বলেন, ফিলিস্তিন নাগরিকরা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত পূর্বাঞ্চলের শহর জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যত রাজধানী হিসেবে মনে করে।
ট্রাম্পের সতর্কতাকে উপেক্ষা করে এরদোয়ান ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে প্যান ইসলামিক গ্রুপের শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করার জন্য তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
এদিকে, শনিবার এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্ব নেতাদের কাজ শান্তি বজায় রাখা, সংঘাত সৃষ্টি করা নয়। তিনি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী বলে উল্লেখ করেন।
এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েল দখলদার রাষ্ট্র। তারা তরুণ ও শিশুদের গুলি করছে। তারা গাজায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালাচ্ছে। আমি স্পষ্ট ও জোরের সঙ্গে বলতে চাই, শক্তিশালী হওয়া মানেই সঠিক নয়।
চলমান সংকটে তুরস্কের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি তুরস্ক দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে ফিলিস্তিন, জেরুজালেম, সিরিয়া ও ইরাক নিজেদের আশাবাদ হারিয়ে ফেলবে।
ট্রাম্পের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে জেরুজালেম নিয়ে সীমা লঙ্ঘন না করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন এরদোয়ান। পবিত্র ওই শহরকে ইসরায়েলি রাজধানীর স্বীকৃতি দিলে তেল আবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি।
বুধবার ট্রাম্পের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ক্যাথলিক চার্চের প্রধান ফ্রান্সিস পোপ, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ অনেক রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে জেরুজালেম নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সূত্র: এএফপি, আনাদোলু।