tarek_rahman

খুব শীঘ্রই দেশে ফিরতে চান তারেক রহমান – দেখুন বিস্তারিত

“আমি ফিরবো আপনাদের জন্য, দেশের জন্য, আপনাদের অধিকার আদায়ের জন্য, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, ইনশাআল্লাহ্ জনগণের সমর্থন নিয়ে আগামীতে সরকার গঠন করবো” ~ তারেক রহমান

ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে লন্ডনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পয়েন্ট আপনাদের জন্যে তুলে ধরা হল –

• গত ৬ বছরে দেশ থেকে ৬ হাজার লক্ষ কোটি টাক পাচার হয়েছে।
• দেশে যতবার নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে, ভোটার নিজের ভোট যতবার নিজে দিতে পেরেছে, ততবারই বিএনপি জয়ী হয়েছে৷
• বর্তমান ডিজিটাল উন্নয়নের নমুনা, বৃষ্টি হলেই ঢাকা হয় যমুনা।
• বর্তমান সময়েও বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, রোহিঙ্গাদের প্রতি ত্রাণ বিতরন কার্যক্রমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কক্সবাজার সফর যার প্রমান।
• বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যতবার সরকার গঠন করছে, ততবারই ভোট চুরির মাধ্যমে তাঁরা ক্ষমতায় বসেছে৷
• প্রবাসী নেতা কর্মি ও দেশবাসীকে লক্ষ রাখতে হবে, অবৈধ এমপি মন্ত্রীরা দেশ থেকে টাকা লুট করে এনে প্রবাসে কোথায় কি করছে, কোথায় বিনিয়োগ করে নিজেরা অর্থের প্রাচুর্জ গড়ে তুলছে।

• বর্তমান সরকার একটি অবৈধ সরকার, এর আদালতও অবৈধ, এই সরকার একটি দুর্বল ও অসহায় সরকার।
• নির্বাচন কমিশনারকে কথায় নয় বরংচ কাজে প্রমান করতে হবে যে তিনি একজন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনার।
• কিছু কিছু সাংবাদিক আছেন, যারা প্রতিনিয়ত বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন, আমরা সবাইকে চিনি, আপনাদেরকে বলবো আপনাদের নুন্যতম আত্মসম্মান থাকা উচিৎ।
• নেতা কর্মিদের বলতে চাই- কোন নেতার পেছনে না থেকে, একমাত্র একজনের নির্দেশে চলবেন, আর তিনি হলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
• অন্য কোন নেতা নয়, আপনারা শুধু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশের অপেক্ষায় থাকুন। জনগনের ভোট ও সমর্থন নিয়ে খুব শীঘ্রই আবার আমরা দেশের শাসন ক্ষমতায় ফিরে আসবো ইনশাআল্লাহ।

সোহরাওয়ার্দীতে অতীতের সব রেকর্ড ভাঙতে চায় বিএনপি

৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশ করার ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর বৃহৎ এ কর্মসূচি সফল করতে ঘাম ঝরাচ্ছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। ১২ নভেম্বরের এ জনসমাবেশে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি অতীতের সব রেকর্ড ভাঙবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র জানায়, প্রথমে ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপি। তবে সিপিএ সম্মেলনের কারণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ৯ নভেম্বরের পর সমাবেশ করার পরামর্শ দেয়। এরপর ১১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। তবে যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সেদিন সোহরাওয়ার্দীতে অনুষ্ঠান থাকায় ১২ নভেম্বর সমাবেশের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সমাবেশের বিষয়ে সরকারের ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়ে বুধবার বিকেলে সমাবেশস্থল পরিদর্শনও করেন দলের নেতারা। এ সময় দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী সাংবাদিকদের জানান, মৌখিক অনুমতি পেয়েই সমাবেশস্থল পরিদর্শনে এসেছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। সমাবেশ হবে এটা নিশ্চিত।

লিখিত অনুমতি না পাওয়ায় সমাবেশের নিশ্চয়তার বিষয়ে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি সমাবেশের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতেই সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছিল বিএনপি। এরপরই বুধবার থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পাশাপাশি ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে পৃথক যৌথসভা করেছে বিএনপি। সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলেও জানান রুহুল কবির রিজভী।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin