jumma_mubarak

ক্ষমা ও সফলতায় জুমআর দিনের গুরুত্ব

হজরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একদিন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে সালামান! তুমি জুমআর দিন সম্পর্কে কি জান? উত্তরে আমি বললাম আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভালো জানেন।

তখন প্রিয়নবি বললেন, ‘এ দিনে তোমাদের পিতামাতা (হজরত আদম ও হজরত হাওয়া) দুনিয়াতে একত্র হন।

হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম বেহেশত থেকে বের হয়ে দুনিয়ার আসার পর এ দিনেই তাদের মিলন ঘটে। দীর্ঘ দিন কান্না রোনাজারি ও ক্ষমা প্রার্থনার পর আল্লাহ তাআলা এ দিনে তাদের প্রতি রহম করেন।

জুমআর দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য ক্ষমা ও সফলতা লাভে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের দিন। এ দিনকে মুসলমানের ইবাদত-বন্দেগির জন্য বিশেষ দিন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেবে বর্ণিত তিনি বলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমরা পৃথিবীতে সর্বশেষ আগমনকারীরাই কেয়ামতের দিন সবার আগে থাকব।

পার্থক্য হলো এই যে, তাদেরকে (অন্যান্য নবিদেরকে) আগে কিতাব দেয়া হয়েছে; আর আমাদেরকেকে তা দান করা হয়েছে তাদের পরে।

অতঃপর তাদের ওপর এ (জুমআর) দিনটি (ইবাদতের জন্য) নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা (ইয়াহুদি ও নাসারা) এ দিনটির ব্যাপারে মতভেদ করল।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এ (জুমআর দিনের) ব্যাপারে সঠিক পথ দান করলেন। ফলে এ ব্যাপারে অন্যান্যরা আমাদের পেছনে থাকল।

(যেমন) ইয়াহুদিরা পরের দিন (শনিবার)কে এবং নাসারা তার পরের দিন (রবিবার) কে গ্রহণ করল। (বুখারি ও মুসলিম)

পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলার একান্ত মেহেরবাণী যে তিনি উম্মতে মুহাম্মাদিকে ইবাদত-বন্দেগির জন্য জুমআর দিনকে মনোনীত করেছেন। আর উম্মতে মুহাম্মাদিও এ দিনকে সাদরে গ্রহণ করেছেন।

আল্লাহ তাআলা একান্ত চাওয়া জুমআর দিনকে ইবাদতের দিন হিসেবে গ্রহণ করেছে এ উম্মাহ। তাই মুসলিম উম্মাহর উচিত জুমআর দিনের ফজিলত ও মর্যাদা রক্ষার্থে যথাযথভাবে জুমআর নামাজে অংশ গ্রহণ করা। জুমআর দিনব্যাপী ইবাদত বন্দেগি করা।

সপ্তাহের বাকি দিনগুলো যাতে ইবাদত-বন্দেগি ও ভালো কাজে কাটানো যায়, সে নসিহত, উৎসাহ, উদ্দীপনা গ্রহণ করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেকেকে গোনাহ মাফের এ দিনে জুমআর দিনের মর্যাদা প্রদান করে প্রিয়নবি ঘোষিত সব ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

Check Also

যে কারণে মানুষের গায়ের রং সাদা কিংবা কালো হয়! – কোরআনের ব্যাখ্যা

কোরআনের ব্যাখ্যা, মানুষের গায়ের রং যে কারণে সাদা কিংবা কালো হয় পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin