kosom

কথায় কথায় কসম করছেন? আপনি কি জানেন এই মারাত্মক অপরাধের শাস্তি? দেখুন বিস্তারিত

সাধারণত আমরা কসম দ্বারা প্রতিজ্ঞা বা হলফ করাই বুঝি। আর ইসলামি শরিয়তে কসম বলতে আল্লাহ তাআলার নামে কসম করাকেই বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ব্যতীত অন্য কারো নামে (আল্লাহর সৃষ্টির নামে) কসম করা শিরক বা কুফরি।

কোনো ব্যক্তি যদি কোনো কাজের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার নামে কসম করে এবং তা বাস্তবায়ন না করে তবে সে গোনাহগার হিসেবে পরিগণিত হবে।

কসমকারী ব্যক্তি কসম বাস্তবায়ন না করলে ওই ব্যক্তিকে কসমের কাফফারা দিতে হবে। তাছাড়া ইসলামি শরিয়তে কসম করার নিয়ম রয়েছে। কসমের শব্দগুলো হবে এমন-

‘উকসিমু বিল্লাহ; ওয়াল্লাহ; বিল্লাহ; তাল্লাহ ইত্যাদি শব্দ দ্বারা কসম করা। অর্থাৎ ‘আল্লাহ তাআলার নামে কসম করা।’

সাধারণ অর্থে যদিও কসম করা ঠিক নয়। তারপরও মানুষ কথায় কথায় অজ্ঞতাবশতঃ কসম করে বসে। শুধু তাই নয়, বরং মানুষ আল্লাহ তাআলা ব্যতীত অন্য ব্যক্তি ও বস্তুর নামে ‍শিরকি ও কুফরি কসম করে থাকে।

যেমন বলে থাকে যে, ‘পশ্চিম (কাবার) দিকে মুখ করে কসম; মসজিদে গিয়ে বা স্পর্শ করে কসম; ছেলে-মেয়ের নামে বা স্পর্শ করে কসম; মা-বাবাসহ অন্যান্য গাইরুল্লাহর নামে কসম। যা শিরক ও কুফরি কাজ।

প্রকৃত পক্ষে সৃষ্টি জগতের কসম শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্য নির্ধারিত। যা কুরআনের বহু জায়গায় অনেকবার উল্লিখিত হয়েছে। অথচ মানুষ সৃষ্টির কসম করে থাকে।

একান্ত প্রয়োজনে যদি কসম করতেই হয় তবে কমস করতে হবে ইসলামি রীতি অনুযায়ী শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার নামে। জ্বিন-ইনসান তথা গাইরুল্লাহর নামে কসম করা কুফরি তথা শিরকে আসগার বা ছোট শিরক। এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছে-

হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গাইরুল্লাহর (আল্লাহ ব্যতীত অন্যের) নামে হলফ বা কসম করলো সে কুফরি বা শিরক করলো। (তিরমিজি, মুসতাদরেকে হাকিম)

পরিশেষে…
যদি কোনো কারণে কসম করতেই হয় তবে শুধুমাত্র আল্লাহর নামেই কসম করা। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে কসম করা কুফরি বা শিরক।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কসম করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন।

একান্তই যদি কসম করতে হয় তবে গাইরুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে কসম করা থেকেও বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Check Also

যে কারণে মানুষের গায়ের রং সাদা কিংবা কালো হয়! – কোরআনের ব্যাখ্যা

কোরআনের ব্যাখ্যা, মানুষের গায়ের রং যে কারণে সাদা কিংবা কালো হয় পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin