জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে সংসদে বিশেষ অধিবেশন চলছে। এই বিশেষ অধিবেশনে চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে নির্বাচিত এমপি রাশেদ খান মেনন। যদিও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন।
এজন্য শুরুতেই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। রাশেদ খান মেনন যেভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রশংসা ও স্তুতি গাইলেন তাতে চমকে উঠতে হয়।
এই রাশেদ খান মেননরাই ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অযাচিত নানা অভিযোগ, মিথ্যা মনগড়া সমালোচনা করেছিলেন। এই রাশেদ খান মেননের বড় ভাই এনায়েতুল্লাহ খান, যার আজ মৃত্যু বার্ষিকী।
এই এনায়েতুল্লাহ খান বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে হলিডে পত্রিকায় সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে তথ্য সন্ত্রাস চালু করেছিল। একের পর এক মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে বঙ্গবন্ধু সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছিলো।
এই রাশেদ খান মেননরাই সে সময় বঙ্গবন্ধুর বাকশালের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে একনায়ক হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। এই রাশেদ খান মেননরাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর কোন রকম প্রতিবাদ করেন নাই, স্বৈরাচারী জিয়াউর রহমানের সঙ্গে সমঝোতা করে রাজনীতি করেছিলেন।
এই রাশেদ খান মেননরাই বাংলাদেশে সমাজতন্ত্রের নামে স্বৈরাচার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে আপোষ করেছিলেন। ১৪ দলীয় ঐক্যজোট গঠিত হওয়ার পর রাশেদ খান মেননরা ভোল পাল্টাতে শুরু করেন।
তখন তারা আওয়ামী লীগারদের চেয়ে বেশী আওয়ামী লীগ হয়ে যান। জাতীয় সংসদে রাশেদ খান মেননের ভাষণ শুনে বাহাত্তুর পচাত্তুর সময়ে রাজনীতিতে যারা রাশেদ খান মেননদের অপতৎপরতা দেখেছেন, তারা নিজের অজান্তেই বলে উঠেন- এ কী কথা শুনি আজ মেননের মুখে।
বাংলা ইনসাইডার