এবার নূরের কাঁধে সাওয়ার বিএনপি

বিএনপিতে এখন নূরের কদর বেড়ে গেছে। বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি নেতৃবৃন্দ এখন ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাকে ধর্ষণ বিরোধি আন্দোলন অব্যাহত রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে। এই আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার জন্য যে টাকা পয়সা লাগবে, সেটাও জোগাড় করে দেয়ার আশ্বাস দেয়া হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে।

দৃশ্যত: সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপি এখন নূরের কাঁধে সাওয়ার হতে চাইছে। সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণ নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় চলছে। ধুকতে থাকা বিএনপি, এই ইস্যুতে একদিকে যেমন দলকে চাঙ্গা করতে চাইছে অন্যদিকে সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছে।

কিন্তু কোন্দল এবং হতাশায় বিভক্ত বিএনপির নিজে আন্দোলন করার শক্তি নেই। গত সপ্তাহে বিএনপি এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বেশ কিন্তু আন্দোলনের চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেই আন্দোলন জনগণের মাঝে রেখাপাত করতে পারেনি। এমনকি নিজস্ব নেতা কর্মীদের অংশগ্রহণও ছিলো হতাশা জনক।

বিএনপির একজন নেতা স্বীকার করেছেন ‘বিএনপির ধর্ষণ বিরোধি আন্দোলনে জনগন অংশ নিচ্ছে না।’ তার মতে ‘এই ইস্যুতে এখনই বড় ধরণের আন্দোলন গড়ে তোলার সক্ষমতা বিএনপির এখন নেই।’ অন্যদিকে, একই ইস্যুতে নূরের নেতৃত্বাধীন ছাত্র অধিকার পরিষদ একের পর এক কমসূচী পালন করছে।

গতকাল, শাহবাগে পালিত হয়েছে ধর্ষণ বিরোধি মহাসমাবেশ। সেখান থেকে নয় দফা দাবীতে আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, শাহবাগে অবস্থান  কর্মসূচী এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ অভিমুখে লং মার্চ।

বিএনপি দেরী না করে এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, তারা যেন এই কর্মসূচীতে যোগদেয়। এভাবে নূর এর আন্দোলনে ভর করে বিএনপি কিছু একটা করতে চাইছে।

অবশ্য অন্যের ঘাড়ে বন্ধুক রেখে সরকার বিরোধি আন্দোলনের চেষ্টা বিএনপির জন্য নতুন নয়। এর আগেও সাইদীর ফাঁসির আদেশ বাতিলের দাবীতে জামাতের আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল বিএনপি। আল্লামা শফীর ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচীতেও বিএনপি নেতারা যোগ দিয়েছিলেন।

কোটা বিরোধী আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকেও অন্যখাতে নিতে বিএনপি কম চেষ্টা করেনি। ঐ সব আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন হয়নি। এবারও বিএনপি একই পথে হাটছে। কিন্তু দেশের প্রধান বিরোধি দল যদি নিজেরাই জনগনকে সংগঠিত করার ক্ষমতা ও যোগ্যতা হারায় তাহলে, ঐ রাজনৈতিক দলের অস্তীত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে।

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin