উন্নত চিকিৎসায় সম্মতি দেননি খালেদা

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়ে বেগম খালেদা জিয়ার করা আবেদনের ওপর হাইকোর্টের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য দুপুর ২টা সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে পাঠানো তার চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মতি দেননি কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ কারণে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ) হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্যে উপস্থাপন করা হয়।

হাইকোর্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। আদালতে প্রতিবেদনটি পড়ে শোনান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

ওই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের আদেশের জন্য দুপুর ২টায় সময় ধার্য করেন আদালত।

আদালতে আজ খালেদার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জামিন শুনানির এক পর্যায়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানাতে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

গতকাল বুধবার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে জমা দেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।

চিকিৎসার জন্য লন্ডন যেতে ১৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনে বলা হয়, তিনি গুরুতর অসুস্থ। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। জামিন পেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে চান তিনি।

গত বছরের ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন। এরপর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin