দেনমোহর কী :
বিয়ের সময় স্ত্রীকে দেনমোহর প্রদান করতে হবে, এটা স্বামী কর্তৃক প্রদেয় স্ত্রীর জন্য আইনগত অধিকার। মুসলিম আইনে দেনমোহর স্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও নারীর অর্থনৈতিক অধিকার সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে বিবাহ বন্ধনের সময় স্ত্রীর দেনমোহর আদায় করা পুরুষের জন্য বাধ্যতামূলক। দেনমোহর স্বামীর ঋণ, যা স্বামী তাঁর স্ত্রীকে পরিশোধ করতে বাধ্য।
দেনমোহর যৌতুক কি না :
দেনমোহর স্বামীর প্রতি স্ত্রীর মুসলিম আইন অনুযায়ী অধিকার। দেনমোহর কোনভাবেই যৌতুক না। যৌতুক প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্বামী শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার অথবা তালাকের ভয় প্রদর্শনের মাধ্যমে স্ত্রীর পরিবারের কাছে যে অবৈধভাবে যে অর্থ দাবী করে তাই যৌতুক। অপরপক্ষে দেনমোহর স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ঋণ, যা মুসলিম আইনে স্বীকৃত এবং যা পরিশোধে ব্যর্থ হলে স্ত্রী ১৯৮৫ সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশের ৫নং ধারায় পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারবে। যৌতুকের সাথে দেনমোহরের কোনরূপ সম্পর্ক নেই।
স্বামীর মৃত্যুর পরে স্ত্রীর দেনমোহর পরিশোধের উপায় :
স্ত্রীর দেনমোহর পরিশোধ করার পূর্বে হঠাৎ করে স্বামীর মৃত্যু হলে মৃত স্বামীকে কবরস্থ করার প্রয়োজনীয় খরচাদি নির্বাহ করার পর স্বামীর পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে স্ত্রীর প্রাপ্য অপরিশোধিত দেনমোহর স্ত্রীকে দিতে হবে। মৃতের উত্তরাধিকারগণ তাদের প্রাপ্ত সম্পত্তির হার অনুসারে মৃতের বিধবা স্ত্রীর প্রাপ্য দেনমোহর নিশ্চিত করে তাদের স্ব স্ব অংশ বুঝে নিবে। যদি স্বামীর উত্তরাধিকারীরা স্বামীর সম্পত্তি থেকে দেনমোহর দিতে অস্বীকার করেন তাহলে স্বামীর উত্তরাধিকারীদের বিরুদ্ধে স্ত্রী পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারবেন।
আজরাঈল, মহানবী (সা.)-এর জান কবজ করতে এসে যা বলেছিলেন!
প্রত্যেক মানুষকেই একদিন মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। মৃত্যুর হাত থেকে আমাদের দীনের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনিও রক্ষা পাননি। তবে নবীজী (সা.) এর জান কবজের সময় আজরাইল (আ.) বিশেষ কিছু কথা বলেছিলেন।
মহানবী (সা.) এর জান কবজের সময়ের ঘটনাটি নিম্নরূপ- নবীজীর (সা.) মৃত্যুর সময় জিবরাঈল (আ.) আসলেন, এসে নবীজিকে (সা.) সালাম দিলেন, আর বল্লেন হে আল্লাহ‘র রাসুল।
আল্লাহ আপনাকে সালাম দিয়েছে, আর জানতে চেয়েছে আপনি কেমন আছেন, আল্লাহ সব জানেন তার পড় ও আপনার মুখ
থেকে জানতে চেয়েছেন আপনি কেমন আছেন, নবীজি বল্লেন আমি বড়ই কষ্টের ভিতর আছি, অসুস্হ আছি, জিবরাইল বললো, ইয়া রাসুলল্লাহ একজন নতুন ফেরেস্তা এসেছে আজ আমার সাথে, যে ফেরেস্তা কোন মানুষের কাছে আসার জন্য কোন
দিন অনুমতি চায় নাই, আর কোনদিন অনুমতি চাইবেও না, শুধু আপনার অনুমতি চায় আপনার কাছে আসার জন্য, আর সে ফেরেস্তার নাম মালাকুল
মউত, মালাকুল মউত রাসুলের অনুমতি নিয়ে রাসুলের জাসান মোবারকের কাছে এসে সালাম দিলেন, বললেন ইয়া রাসুলল্লাহ আদম (আ.) থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত আমি যত মানুষের জান কবচ করেছি, আর কেয়ামত পর্যন্ত যত মানুষের জান
কবচ করবো কারো কাছে অনুমতি চাইনি আর চাওয়া ও আমার লাগবে না, কিন্তু আজকে আসার সময় আল্লাহ বলেছেন আমি যেন আপনার অনুমতি চাই, নবীজি বললেন মালাকুল মউত আমি যদি অনুমতি না দেই? তখন আজারাঈল (আ.) বলেন,
আপনি যদি অনুমতি না দেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাকে ফিরে যেতে বলেছেন।