বিএনপি বলেছে, ভোটারবিহীন আওয়ামী লীগ সরকারের স্বভাবের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আওয়ামী লীগ এখন সন্ত্রাসের ল্যাবরেটরিতে পরিণত হয়েছে। এরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ঠেকানোর জন্য পুলিশি রাজত্ব টিকিয়ে রাখবে।
আজ মঙ্গলবার আদালত থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফেরার সময় রাজধানীর বকশীবাজার ও হাইকোর্টের সামনে নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের আক্রমণের অভিযোগ করে সন্ধ্যায় গুলশানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
রিজভী অভিযোগ করেন, পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা ও বেপরোয়া রাবার বুলেট ছুড়ে অর্ধশত নেতা-কর্মীকে আহত ও গ্রেপ্তার করেছে।
রিজভী জানান, পুলিশের লাঠিপেটায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা
বিএনপির সভাপতি সামছুল আলম, দলের নেতা তাইজুদ্দিন আহমেদ, আবু সুফিয়ান, রাইসুল ইসলাম, সুমন, শামসুল হক, দেলোয়ার, হারুন, জহির, লিটনসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
পুলিশ বকশীবাজার ও হাইকোর্টের সামনে থেকে বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মহানগরীর গোলাম মোস্তফা, হাজি মো. ফারুক, দুলাল হোসেন,
আবদুল আউয়াল, আবদুর রহিম ও কামাল হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, সদস্য সোহেল রানা, রাজধানীর তিতুমীর কলেজ ছাত্রদল নেতা মাইনুল হোসেন, রামপুরা থানা অনিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া পাঁচজন সাংবাদিককে পুলিশ আটক করে। পরে সাংবাদিকদের প্রতিবাদের মুখে তাঁদের পুলিশ ছেড়ে দেয়।
রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে রাস্তায় অভ্যর্থনা জানাতে আসা নেতা-কর্মীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আগ্রাসী আচরণে আগাম উপলব্ধি করা যায় শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন কত বীভৎস রূপ ধারণ করবে। কারণ, চোরাই নির্বাচন এবং চোরাই পার্লামেন্টের মজা তারা কোনোভাবেই হারাতে রাজি নয়।
prothom-alo