অভিবাসীদেরকে ‘অশ্লীল’ ভাষায় গালি দিলেন ট্রাম্প

বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র তাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করার পর, এবার অভিবাসীদের ‘অশ্লীল ভাষায়’ গালাগাল দিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেন, “ওসব নোংরা দেশের অভিবাসীদের কেন এখানে দরকার?”

একটি সর্ব সম্মত অভিবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের আইন প্রণেতাদের মধ্যকার অনুষ্ঠিত বৈঠকে ট্রাম্প এ কথা বলেন।

বৈঠকে সুনির্দিষ্ট কিছু দেশের জন্য ‘সাময়িক সুরক্ষা স্ট্যাটাস’ (টিপিএস) পুণরায় বজায় রাখতে ট্রাম্পকে প্রস্তাব করেন আইন প্রণেতারা। বিনিময়ে তারা ট্রাম্প ঘোষিত মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে দেড় বিলিয়ন ডলার অনুমোদনের আশ্বাস দেন।

ট্রাম্পের এ মন্তব্য হাইতি, এল সালভাদর, এবং আফ্রিকান দেশগুলোর উদ্দেশ্য করে করা হয়েছে। ওয়াশিংটনস্থ এল সালভাদর দূতাবাস এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করে।

চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী দুই লাখের বেশি এল সালভাদরের নাগরিকের টিপিএস সুবিধা প্রত্যাহার করেন। ফলে তিনি দশক ধরে বসবাসের পরও ২০১৯ নাগাদ তাদের যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে হবে। হাইতি ও নিকারাগুয়ার নাগরিকদের টিপিএস সুবিধাও এর আগে প্রত্যাহার করা হয়।

সাউথ ক্যারোলাইনার রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও ট্রাম্পের এ অশ্লীল বক্তব্যের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

ওয়াইট হাউজ সূত্র ট্রাম্পের এ মন্তব্যকে অস্বীকার করেনি। মুখপাত্র রাজ শাহ বলেন, ওয়াশিংটনের কিছু সুনির্দিষ্ট রাজনীতিবিদ অন্য দেশের জন্য লড়াই করে, কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সব সময় আমেরিকান জনগণের জন্য লড়াই করবে।

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য দেশের মতো অভিবাসন বিষয়ে মেধা-ভিত্তিক স্থায়ী সমাধানের জন্য লড়াই করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আমাদের অর্থনীতি ও সামাজিক সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সমাজের সঙ্গে মিশতে পারা মেধাবীদের আমরা স্বাগত জানাবো।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ট্রাম্পের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।

এক টুইট বার্তায় ম্যারিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতা এলিজা কামিংস বলেন, ক্ষমার অযোগ্য এ বক্তব্যের নিন্দা জানাই আমি, এবং এটি প্রেসিডেন্ট অফিসের সম্মান ও মর্যাদা নষ্ট করছে।

ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতা সেডরিক রিচমন্ড বলেন, এটি প্রমাণ করে ট্রাম্পের আমেরিকাকে আবারও মহান করার উদ্দেশ্যের পেছনে রয়েছে আমেরিকাকে সাদা চামড়াদের দেশে পরিণত করা।

হাইতি বংশোদ্ভুত একমাত্র কংগ্রেস সদস্য এবং উটাহ’র রিপাবলিকান আইন প্রণেতা মিয়া লাভ, ট্রাম্পের এ বক্তব্যকে ‘নির্মম, বিভেদ সৃষ্টিকারী, এবং অভিজাতদের স্বার্থ কেন্দ্রিক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

Check Also

মুখ ফিরিয়ে নিলেন আত্মীয়স্বজন, হিন্দু বৃদ্ধের সৎকার করলেন মুসলিম যুবকরা

বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় ভারতের বুলন্দশহরের বাসিন্দা রবিশংকরের। অথচ প্রতিবেশীরা মনে করেন করোনা সংক্রমণের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin