kader_01

‘অন্ধ আক্রোশের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে খালেদার বক্তব্যে’ – ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যে শেখ হাসিনার প্রতি তার অন্ধ আক্রোশের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

রোববার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির সমাবেশে খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।

শেখ হাসিনার বর্তমান সরকারের অধীনে নয়, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করতে হবে খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ওই সময় শুধু নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে সহায়তা করবে। খালেদা ইভিএম পদ্ধতি চান না, কারণ এটা একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। তিনি চান ২০০১’র মতো মেকানাইজড নির্বাচন।

খালেদা জিয়ার দাবি অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সময়ে কোনো সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে না। তারা নির্বাচনের সময় শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী ক্ষমার নাটক করছেন। আর এর উজ্জল উদাহরণ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। তিনি এখন যে মামলায় জর্জরিত তা তারই নিয়োগ করা লোকেরা (ফখরুদ্দিন, মইনউদ্দিন) দিয়েছেন।

বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী নির্যাতিত হওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, খালেদার হাতে একুশ হাজার নেতা-কর্মীর দাগ রয়েছে।
এছাড়া সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয় খালেদা জিয়ার এ বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি (খালেদা) প্রধান বিচারপতির উদাহরণ দিয়েছেন। এটা হাস্যকর। বাংলাদেশ থেকে কেউ গিয়ে তাকে পদত্যাগ করায়নি। এসকে সিনহা নিজের ইচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামিম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্যই প্রমাণ করে তার দল নির্বাচনে আসবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ক্ষমতাসীন দলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবাহান গোলাপ।
পরিবর্তন

শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি: খালেদা

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলেক্ষে রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির মহাসমাবেশে দলটির চেয়ারপারসন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি কোনো সংঘাতে যেতে চায় না। সুষ্ঠু রাজনীতি করার মাধ্যমে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে চায়। এজন্য সকল দলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে চায় বিএনপি।
.
খালেদা জিয়া বলেন, আগামী নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে না হলে সে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। শেখ হাসিনার অধীনে সেটা কখনো সম্ভব নয়। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার (বিচারিক ক্ষমতা) দিতে হবে।’

এসময় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বিচার বলতে কোনো কিছু নেই। বিচার ব্যবস্থাকে সরকার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। প্রধান বিচারপতিকে (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) তার পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। সত্য কথা বলায় তাকে বিদায় নিতে হলো।’
আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছরে দেশ থেকে সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ যেহেতু ক্ষমতায়, সেহেতু তারাই এই টাকা পাচার করেছে।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার আগে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। আমি জানতে চাই- ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা বলে এখন কেন ৭০ টাকায় জনগণকে চাল খাওয়ানো হচ্ছে।’

গুম-খুন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেদের (নেতাকর্মী) নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। তাদেরকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।’
সরকারি কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসব (চাকরিচ্যুত করা) কাজ বিএনপির নয়। সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা দেখা হবে। কারো চাকরি খাওয়া হবে না।’

আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলছে- বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মানুষ হত্যা করবে। আমরা মানুষ হত্যা করি না, মানুষ হত্যা করে আওয়ামী লীগ। এটা আওয়ামী লীগের কাজ, বিএনপির নয়।’
এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘সমাবেশ যাতে সফল না হয় এজন্য অনেক বাধা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আমিও যাতে আপনাদের সামনে পৌঁছাতে না পারি এজন্য গুলশানে বাস দিয়ে রাস্তা আটকে রাখা হয়।’

‘এই হলো এদের (সরকার) অবস্থা। এরা যে কত ছোট মনের তা প্রমাণ করে দিয়েছে। এতো ছোট মন নিয়ে রাজনীতি করা যায় না’ যোগ করেন খালেদা জিয়া।

এর আগে গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা হয়ে বিকেল সোয়া ৩টায় মঞ্চে উপস্থিত হন বিএনপি চেয়ারপারসন। এসময় নেতাকর্মীরা করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।

এসময় খালেদা জিয়া দু’হাত নেড়ে তিনি নেতাকর্মীদের অভিবাদন গ্রহণ করেন। এরপর বিকেল ৪টা ৮ মিনিটে শুরু করে ৫টা ১০ মিনিটে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।

সূত্র: poriborton

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin