একতরফা নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে এবারো মাঠের দখল ধরে রাখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস’ পালনে রাজধানীতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দলটি।
বিপরীতে দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ ঘোষণা করে বিএনপি কর্মসূচি দিলেও সরকার তাদের অনুমতি দেয়নি। ফলে দিবসটি পালনে রাজপথের বিরোধী দল কোণঠাসাই রয়ে গেল। আপাতত সংবাদ সম্মেলনেই ক্ষান্ত থাকতে হচ্ছে তাদের।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৪ বছর পূর্তির দিন ৫ জানুয়ারি। ২০১৪ সালের এই দিনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে। ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী। বাকি আসনগুলো মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দল বানিয়ে কোনো রকম নির্বাচন দিয়ে বৈতরণী পার হয় আওয়ামী লীগ। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারও গঠন করে দলটি।
সে থেকে দিনটিকে বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আর আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। আজও একই অবস্থানে দু’দল। এ উপলক্ষে পৃথক কর্মসূচি ঘোষণাও করেছে তারা। কিন্তু, আওয়ামী লীগ ঢাকার তিনটি স্পটে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও অনুমতি পায়নি বিএনপি।
গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালনে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চাইলেও সেখানে নাম সর্বস্ব ইউনাটেড ইসলামিক পার্টিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া রাজধানীর বনানীতে বিকেল তিনটায় মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মহানগর দক্ষিণ বিজয় র্যালি করবে।
এদিকে, সমাবশের অনুমিত না দেওয়া বিক্ষুব্ধ বিএনপি সকাল ১১টায় দলটির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় অফিসে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।