বয়স ৪১। ব্যক্তিগত জীবনে ডিভো’র্সি। ফের বিয়ে করতে চান। কিন্তু পাত্র ২৩ বছর বয়সী।
একই সাথে বান্ধবী থাকা যাবে না, ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না সহ রয়েছে নানা শর্ত।
পাত্র চেয়ে এমনই একটি বিজ্ঞাপন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। জানা গেছে,
৪১ বছরের ওই নারী বাংলাদেশি হলেও থাকেন মালয়েশিয়ায়। সেখানে পাত্রীর নিজস্ব ব্যবসা ও বাড়িগাড়ি রয়েছে।
বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পাত্রকে বিয়ের পর পাত্রীর ব্যবসা দেখাশোনায় সাহায্য করতে হবে।
পাত্র চেয়ে যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে-
অবশ্যই হ্যান্ডসাম এবং সুন্দর দেখতে হতে হবে। ফর্সা এবং ভাল সাস্থ্যের হতে হবে।
কালো ও চাপাভাঙ্গা পাত্রদের আবেদন করার দরকার নেই।
বয়সঃ ২৩ থেকে ২৮ এর মধ্যে হতে হবে। বিয়ের পর কলেজে/ভার্সিটিতে পড়াশোনার নামে মেয়েদের সাথে নষ্টামি করা যাবেনা।
বউয়ের কথার অবাধ্য হওয়া যাবেনা। কোনও মেয়ে বন্ধু থাকা চলবে না।
অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবেনা। ফেইসবুক/ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবেনা।
সর্বশেষ ওই বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে, পাত্রকে টাকাপয়সার কোনও অভাব দেয়া হবেনা।
বিজ্ঞাপনটি ভার্চুয়ালি ভাইরাল হয়ে পড়েছে। অনেকেই ইতিবাচক নেতিবাচক মন্তব্য করছে।
আরো পরুন হিজাব ও পাগড়ি পরার অনুমতি দেবে মা’র্কিন বিমান বাহিনী মুসলমান ও
শিখ ধর্মালম্বীরা নিজেদের ধর্মীয় আচার দাড়ি রেখে এবং
হিজাব ও পাগড়ি পরে মার্কিন বিমান বাহিনীতে চাকরি করতে পারবেন।
তবে এজন্য ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের অনুমোদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।নতুন পোশাক বিধিমালা অনুসারে,
মুসলমান ও শিখরা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ধর্মীয় আচারের অনুমোদন পাবেন ৩০ দিনের মধ্যে।
আর যারা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে মোতায়েন আছেন তাদের ৬০ দিনের মধ্যে অনুমোদন দেওয়া হবে।
এই নতুন বিধিমালার পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীতে কর্মরত মুসলমান ও
শিখদের দাড়ি রাখতে এবং হিজাব ও পাগড়ি পরার অনুমতি নিতে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতো।
এছাড়া এক এক করে বিবেচনা করে এই অনুমোদন দেওয়া হত।
নতুন বিধিমালায় এই প্রক্রিয়া দ্রুততর ও সাধারণীকৃত করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত খুব কম মুসলমান ও শিখদের মার্কিন বিমান বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যারা তাদের ধর্মীয় পোশাক পরে দায়িত্ব পালন করতে চেয়েছেন।
২০১৮ সালে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে মায়সা অউজাকে হিজাব পরে চাকরি করার অনুমতি দেওয়া হয়।
আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের সহযোগিতায় দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর তাকে এই অনুমতি দেওয়া হয়।
নতুন এই বিধিমালাকে স্বাগত জানিয়েছে মুসলিম ও শিখ সম্প্রদায়।
কাউন্সিল অর আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স-এর জাতীয় কমিউনিকেশন পরিচালক ইব্রাহিম হুপার বলেন,
ধর্মীয় পোশাকের অনুমোদন ও বাহিনীদের সব ধর্মের মানুষের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে যাওয়া এই বিধিমালা।
মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য ও কয়েক দশকের মধ্যে প্রথম শিখ ধর্মালম্বী হিসেবে পাগড়ি
পরার অনুমতি পাওয়া কামাল সিং কালসি ‘বিমান বাহিনীর ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
সাবেক শিখ আমেরিকান সেনাদের জোটের সভাপতি কালসি বলেন,
মার্কিন বিমান বাহিনীসহ ও সেনাবাহিনীর সব শাখায় আরও বিস্তৃত নীতির পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাব।
যাতে করে যেসব জনগণকে এসব বাহিনী সুরক্ষা দেয় সেই শক্তি ও বৈচিত্র্যময়তা প্রকাশ পায়।