dhaka_city_co_uttor

৩৬টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিএনপির যারা

আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে দলীয় মেয়রপ্রার্থী হিসেবে তাবিথ আউয়ালের নাম আজ শনিবার রাতে ঘোষণা করবে বিএনপি। মেয়রপ্রার্থী ঘোষণার আগে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামÑ জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতাদের নিয়ে রাতে বৈঠক করবেন। গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।এর আগে গত ৯ জানুয়ারি উত্তর সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী নিয়ে ২০-দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বেগম খালেদা জিয়া।

ওই বৈঠকে বিএনপির কোনো নেতাকে একক মেয়রপ্রার্থী করতে খালেদা জিয়ার ওপর দায়িত্ব দেন জোট নেতারা। বৈঠকে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী হিসেবে একমাত্র তাবিথ আউয়ালকে নিয়ে আলোচনা করেন জোট নেতারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতা জানান, আজকের (শনিবার) স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও তাবিথ আউয়ালসহ ওয়ার্ডগুলোতে কীভাবে একক কাউন্সিলর প্রার্থী ঠিক করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে। এই বৈঠকেই জামায়াতকে কয়টি ওয়ার্ডে ছাড় দেওয়া হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটির ৩৬টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন ফরম বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর বিএনপি কার্যালয় থেকে বিক্রি শুরু করে মহানগর উত্তর বিএনপি। প্রথম দিনে সাধারণ ও সংরক্ষিত পদে ২৮টি ফরম বিক্রি হয়।

দ্বিতীয় দিনে সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৩টি ফরম বিক্রি হয়। মহানগর উত্তর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আমাদের সময়কে বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। তাই একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম দিন থেকেই আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।

তিনি জানান, উত্তরে যে ১৮টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হবে কোনোটিই ২০-দলীয় জোটের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়নি। কোন ওয়ার্ড জোটকে দেওয়া হবে বা হবে না, তা সিদ্ধান্ত দেবে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এখানে মহানগর কোনো সিদ্ধান্ত দেবে না। আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীর ফরম বিক্রি হবে। রবিবার সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে যারা মনোনয়ন ফরম কেনেনÑ আবদুস সালাম ও আফাজউদ্দিন (ওয়ার্ড নং-৫১), আবদুস সালাম সরকার, আমিনুল হক ও দেওয়ান নাজিমউদ্দিন (ওয়ার্ড নং-৫০), শেখ নূর মোহাম্মদ ও আহসান হাবিব মোল্লা (ওয়ার্ড নং-৪৪), আলী আকবর (ওয়ার্ড নং-৪৮), মোস্তফা জামান ও হারুন অর রশিদ (ওয়ার্ড নং-৫৩),

আতাউর রহমান (ওয়ার্ড নং-৪০), রফিকুল ইসলাম সরকার মুকুল ও আতিকুর রহমান (ওয়ার্ড নং-৪৬), জাহাঙ্গীর আলম ব্যাপারী (ওয়ার্ড নং-৪৫), ওমর আলী, হানিফ আলী হানি, জহিরুল ইসলাম ও জসিমউদ্দিন (ওয়ার্ড নং-৫৪), রেজাউল করিম ও মুজিবুর রহমান (ওয়ার্ড নং-৪৩), নুরুজ্জামান খান বাবুল (ওয়ার্ড-৪১), কুদরাত এলাহী লিটন, মোস্তফা কামাল, আজহার আলী, শাহাবুদ্দিন, শামসুল আলম নোমান, আমানউল্লাহ আমান, বরকত আলী, মুজিবুর রহমান ও শহীদুল্লাহ (ওয়ার্ড নং-৫২)। আমাদের সময়

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin