al_photo

২৬৯ জনের আওয়ামী লীগ ত্যাগ

পার্বত্য রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় এ পর্যন্ত ২৬৯ নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ ত্যাগ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বিলাইছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড়িরা গণহারে আওয়ামী লীগ ছাড়ছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। পদত্যাগকারী কৃষক লীগ নেতা কেতন চাকমা ও অনিল কান্তি চাকমা বলেন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে দলীয় কার্যক্রমে আর কেউ আগ্রহী নন।

এরই মধ্যে কয়েক দিনের ব্যবধানে জুরাছড়িতে প্রথম দফায় ১২, দ্বিতীয় দফায় ১১১, তৃতীয় দফায় ৫৭ এবং চতুর্থ দফায় উপজেলা কৃষক লীগের ৭১ সদস্যসহ ৮৮ নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন। আলাদাভাবে পদত্যাগ করেছেন বনযোগীছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য চিত্ত রঞ্জন চাকমা।

বুধবার সকালে সভাপতি ও সম্পাদক বরাবরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দলত্যাগ করেন জুরাছড়ি উপজেলার বনযোগীছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য চিত্ত রঞ্জন চাকমা (কারবারি)।এছাড়া পদত্যাগকারীরা ওই উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে ছিলেন।

দলীয় সূত্র জানায়,সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৭১ সদস্যের কমিটির জরুরি সভার মাধ্যমে একযোগে সবাই পদত্যাগ করায় সেখানকার উপজেলা কৃষক লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর ডাকা উপজেলা কৃষক লীগের জরুরি সভায় উপস্থিত সর্বসম্মতিতে ৭১ সদস্যের সবাই একযোগে দল থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা কৃষক লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সভায় সভাপতি, সম্পাদকসহ ৬৬ জন উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি কেতন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক অনিল কান্তি চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য গত ৫ ডিসেম্বর অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যার পরপরই আওয়ামী লীগ থেকে গণহারে পদত্যাগ করছেন পাহাড়িরা।

রাঙ্গামাটিতে আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুষ্কৃতিকারীরা। একই সময় হত্যার উদ্দেশ্যে বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাসেল মার্মাকে (৫০) পিটিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়।

মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার সুভলং খাগড়াছড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়ির সামনে অরবিন্দকে হত্যা করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবর্তক চাকমা তাৎক্ষণিকভাবে এই ঘটনার জন্য কাউকে দায়ী করেননি। তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে নিজেদের অবস্থান ও বক্তব্য প্রদান করব।’

জুরাছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাসেদ জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। সেখান থেকে না ফেরা পর্যন্ত বিস্তারিত বলা যাবে না।

এদিকে, একই সময় বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি রাসেল মার্মার ওপরও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. মুছা মাতব্বর দুটি ঘটনার জন্যই সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার বিকেল ৩টায় রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

তবে জনসংহতি সমিতির মুখপাত্র সজীব চাকমা জানিয়েছেন, ‘আমি এই ধরনের কোনো ঘটনার খবর জানি না। আর এই ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে জনসংহতি সমিতি জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না।’

এর আগে সকালে জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সমর্থক অনাদি রঞ্জন চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

rtnn

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin