‘২০ দল যাবে না, বিএনপি নির্বাচনে যাবে’

সোমবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় ২০ দলীয় জোটের বৈঠক। বৈঠকে অন্যান্য প্রসঙ্গের মধ্যে বেগম জিয়ার বিরদ্ধে চলমান মামলা নিয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠকে বলা হয় ‘২০ দলীয় জোট নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখতেই সরকার বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা গুলো সচল করেছে।’ বৈঠকে বিএনপির একজন নেতা বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা বকশী বাজারের অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন।

বৈঠকে, বিএনপির মহাসচিব জামাত এবং ইসলামী ঐক্যজোটকে ইঙ্গিত করে বলেন ‘সরকার ম্যাডামকে নির্বাচনের বাইরে রেখে জোটের কয়েকজন শরীককে নিয়ে নির্বাচন করতে চায়।’ তিনি বলেন ‘আমার কাছে খবর আছে, সরকার আমাদের মধ্যে ভাঙ্গন ধরানোর চেষ্টা করছে।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন ‘ম্যাডাম ছাড়া ২০ দল নির্বাচনে যাবে না এরকম সিদ্ধান্ত আমাদের নিতেই হবে।’

এসময় বিজেপির নেতা আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন ‘২০ দল তো নির্বাচনে যাবে না, ঠিক আছে কিন্তু বিএনপি কি নিশ্চিত করে বলতে পারবে যে তারা দল ভেঙ্গে নির্বাচনে যাবে না?’ পার্থ বলেন ‘ফখরুল সাহেবের কাছে যেমন খবর আছে, তেমনি আমার কাছেও খবর আছে।

ক্যান্টনমেন্টের এক বাসায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির কোন কোন নেতা বৈঠক করেছেন তা আমি জানি, ম্যাডাম জানেন কিনা জানিনা।’ পার্থ বলেন ‘বিএনপির একটি অংশ যদি দল থেকে বেরিয়ে আরেকটা বিএনপি করে নির্বাচনে না যায় তাহলে ২০ দলও যাবে না।‘

এসময় বৈঠকের সভাপতি বেগম জিয়া বলেন ‘এখন নানা ষড়যন্ত্র হবে। আমাদের মধ্যে ভাঙ্গন ধরানোর চেষ্টা হবে। কিন্তু আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

বাংলা ইনসাইডার

‘আমরা না থাকলে ২০ দল জিরো’

ভাঙ্গনের সুর বেজেছে ২০ দলীয় জোটে। ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে শরীকরা তাদের অবহেলার অভিযোগ করে জোট প্রধান বেগম খালেদা জিয়াকে বলেছেন ‘আমাদের শুধু মিটিংয়ে ডাকবেন, সিদ্ধান্ত নেবেন আপনারা তাহলে কিভাবে হবে। আমরা কি শো পিস।’ অন্য একজন নেতা বলেছেন ‘২০ দলে বিএনপি অনেক শক্তিশালী দল কিন্তু আমরা না থাকলে ২০ দল জিরো।’

গত সোমবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়। বিতর্কের সূত্রপাত করেন কল্যাণ পার্টির নেতা মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি বলেন ‘বিএনপি তাবিথ কে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে, পার্থও প্রার্থী হতে চায়, আবার জামাতও প্রার্থী ঘোষণা করেছে।’ তিনি বলেন ‘২০ দল থেকে একক প্রার্থী দেয়া উচিত।

এসময় জামাতের প্রার্থী আবদুল হালিম বিএনপির কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি জোট শরীকদের উপেক্ষা করারও অভিযোগ করেন। ইসলামী ঐক্য জোটের প্রতিনিধি এডভোকেট এম.এ রকিবও বিএনপির ‘বিগ ব্রাদার সুলভ’ আচরনের তীব্র সমালোচনা করেন।

তিনি জানিয়ে দেন ‘সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা জানানোর জন্য বৈঠক না ডেকে বরং সংবাদপত্রে পাঠিয়ে দিয়েন, আমরা পড়ে নেবো।’ ২০ দলকে কার্যকর রাখতে তিনি জোটের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবী জানান।

বৈঠকে বেগম জিয়া পরিস্থিতি শান্ত করে বলেন ‘ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে প্রার্থী চুড়ান্ত হয়নি। তিনি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামাতের সঙ্গে কথা বলে একক প্রার্থীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে বলেন। আর মেয়র নির্বাচনে আন্দালিব রহমান পার্থকে প্রধান সমন্বয়কারী করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin