তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইনু বলেছেন, ১৪ দলীয় জোটের ঐক্য যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে বাংলাদেশ রক্তাক্ত আফগানিস্তান হয়ে যাবে। বাংলাদেশকে রক্তাক্ত আফগানিস্তান হতে দিতে পারি না বলেই চোখের মনির মত প্রয়োজনে হাজার বছরের ঐক্য রাখার দরকার। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, গতকালকে আমার নির্বাচনী এলাকায় এক সমাবেশে মহাজোটের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কিছু কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ হয়। আমি জোটের ঐক্যের পক্ষে গুরুত্ব আরোপ করে কথা বলেছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শরীক সকল দলের অতীত ইতিহাস জেনে-শুনে-বুঝে এই ঐক্যকে গড়ে তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী ৯৯ অথবা ৮০ পয়সার মালিক হয়েও ২০ অথবা ১ পয়সার মালিক সমতুল্য শরীকদেরক কদর করেছেন, দাম দিয়েছেন এবং ঐক্যে শামিল করেছেন। শেখ হাসিনা সবাইকে নিয়ে জঙ্গি এবং রাজাকার বিরোধী যে ঐক্য গড়ে তুলেছেন এটা একটা রাষ্ট্রনায়কাচিত প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, এই প্রজ্ঞা বা দূরদৃষ্টি শেখ হাসিনাকে জঙ্গিবাদ বিরোধী ঐক্যে সাফল্য এনে দিয়েছে। এ ঐক্যের ফলে ২০০৮ সালে জঙ্গিবাদ, রাজাকার ও বিএনপি চক্রদের পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয়, শেখ হাসিনার এ দূরদৃষ্টি এবং এ বলিষ্ট সিদ্ধান্তের পরেও কতিপয় নেতা ঐক্যকে খাটো করে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে থাকেন। ঐক্যের শরিকদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন এবং তাদের প্রতি তীর্যক মন্তব্য করেন। এটা ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার গড়ে তোলা এ ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। সেখানে ঐক্যের শরিকরা পরস্পর পরস্পরের প্রতি যেন শ্রদ্ধাবোধ রাখে। এ ঐক্য কে চোখের মনির মত আগলে রাখতে হবে। উন্নয়নের ধারা সমুন্নত রাখতে হাজার বছরের ঐক্য যদি করতে হয় তাহলে করতে হবে।
বিএনপি নেতাদের সমাবেশস্থল পরিদর্শন, সরকারের সহযোগিতা কামনা – দেখুন বিস্তারিত
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী রোববারের সমাবেশ অনুষ্ঠানে সরকারের কাছ থেকে সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছে বিএনপি।
আজ শুকবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস দলের এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আশা করি সরকার সমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক আচরণ করবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা করতে আমরা সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করবো, তারা যেন কোনো রকমের উস্কানিমূলক কার্যক্রম না করে এবং আমাদেরকে সহযোগিতা করে। আমরা সরকারের কাছ থেকে রাজনৈতিক আচরণ আশা করবো। একই সাথে আমরা অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ সবার সহযোগিতা চাইব। যাতে জনগণের মত আমরা নিঃসংকোচে প্রকাশ করতে পারি।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী রোববার বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ হবে। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
আজ শুক্রবার বিকেল তিনটায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্মমহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলকে নিয়ে মির্জা আব্বাস সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান। সেখানে মাঠের কোথায় মঞ্চ নির্মাণ হবে তার একটি সম্ভাব্য নকশা নিয়ে মঞ্চ নির্মাতার সাথে আলাপ করেন।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংযের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা আব্বাসসহ নেতৃবৃন্দ জনসভাস্থল পরিদর্শনের পর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে বৈঠক করেন। সেখানে জনসভা অনুষ্ঠানের সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।
সূত্র: rtn২৪.net