আদালতে হাজির না হওয়ায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে শাহবাগ থানার দুই মামলায় তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানার মামলা হয়। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের সোহেলসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আজ অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।
উৎসঃ purboposhchim
খালেদার মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আরিফের শোডাউন
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল শোডাউন করেছেন বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে মুক্তিযোদ্ধা দল, যুবদল, শ্রমিকদল ও ছাত্রদলের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুর রাজ্জাক ও মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি সালেহ আহমদ খসরু বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সরকার মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে আবারও প্রহসনের নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা তা হতে দেবে না। অবিলম্বে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এই আন্দোলনে সরকার পালানোর পথও খুঁজে পাবে না।
আরিফুল হক চৌধুরী দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকেন, তার সাথে নেতাকর্মীদের সংযোগ নেই- দীর্ঘদিন থেকে এমন অভিযোগ করে আসছিলেন মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এর জবাবে আরিফ বিএনপি ছাড়াই শুধুমাত্র অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়েই বিশাল শোডাউন করেন। সিটি করপোরেশনের আগে এই বিশাল মিছিলকে অনেকে আরিফের প্রথম নির্বাচনী শোডাউন বলেও মনে করছেন।
বিডি প্রতিদিন