সুপ্রিম কোর্টের বাইরে দলীয় কর্মী, ভেতরে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের মূল গেটে ও সামনের সড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে মিছিল করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। রাস্তায় নেতাকর্মীদের আন্দোলনের পর সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপির আইনজীবীরা। মিছিল থেকে তারাও খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। ‘রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম’ শিরোনামে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হলেও এতে ছাত্রদল ও বিএনপির অন্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেন।

বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ভেতরে থেকে মিছিল নিয়ে আপিল বিভাগের ফোয়ারার সামনে দিয়ে মূল গেটে গেলে সুপ্রিম কোর্টের সব গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে কোর্টের ভেতরে-বাইরে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পুলিশ প্রথমে নেতাকর্মীদের রাস্তা ছাড়তে অনুরোধ জানায়, কোনো অ্যাকশনে যায়নি। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেয়। এ সময় কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। তবে পুলিশ তাড়া খেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের দিকে চলে যান। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

বিএনপির এ বিক্ষোভ মিছিল থেকে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) রাস্তায় নামাটা অসাংবিধানিক নয় এবং আইনবিরোধীও নয়। জনগণ রাষ্ট্র ক্ষমতার মালিক হওয়া সত্ত্বেও সব কিছু থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যেরে ঊর্ধ্বগতি। পেঁয়াজ, চাল, তেল জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এ সব বিষয় নিয়ে আমাদের বিরোধী দলের আন্দোলন করার অধিকার আছে। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আন্দোলন করার অধিকার আমাদের আছে।’

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যেরে ঊর্ধ্বগতি হয়েছে তা নিম্নগামী করুন এবং দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়েছে আর তার জন্য পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচন দিন।’

দুদকের দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার কারামুক্তির দাবিতে বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করলেও কঠোর কোনো কর্মসূচিতে যায়নি বিএনপি। সম্প্রতি দলের ভেতরে ও বাহিরে থেকে কঠোর কর্মসূচির দাবি উঠছে। দলের কয়েকজন নেতাও আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

সূত্র: জাগো নিউজ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin