জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমাপ্ত বক্তব্য শেষ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ আদালতে বক্তব্য রাখেন তিনি।
বক্তব্যের অধিকাংশ সময়ে জুড়ে তিনি সাক্ষীদের বিষয় কথা বলেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, কোনো সাক্ষী আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেনি। আমি নির্দোষ এবং আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।
সাক্ষীদের বিষয় তিনি আরও বলেন, শুধু মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ বানোয়াট ও অপ্রমাণিত। আমি দৃঢ়ভাবে সব অভিযোগ অস্বীকার করছি।
প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল নামে কোনোদিন কোনো তহবিল ছিল না এবং এটা অস্তিত্ববিহীন। এর কোনো অ্যাকাউন্টের প্রমাণপত্র, কোনো মূল নথিপত্র, কোনো নোটশিট উপস্থাপিত হয়নি। কতকগুলো সই-স্বাক্ষরবিহীন ঘষামাজা ফাইল নম্বর উল্লেখ করে কিছু রেডর্ক প্রস্তুত করে দুদক কর্মকর্তা এই মামলায় আমাকে হয়রানিমূলকভাবে জড়িত করার ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট একটি প্রাইভেট ট্রাস্ট। এ নিয়ে কারো কোনো ভিন্নমত নেই। এই প্রাইভেট ট্রাস্টটির কোনরূপ আর্থিক অনিয়ম হয়েছে বলে ট্রাস্ট সংশ্লিষ্ট কারো কোনো অভিযোগ নাই। সরকারের কোনো ফান্ড দ্বারা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠন হয় নাই।
কুয়েতের আমীরের এককালীন অনুদানস্বীকৃত মতে তদানীন্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান কর্তৃক আনীত হয় মর্মে সাক্ষ্য প্রমাণে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দুদকের তদন্তে বৈদেশিক অনুদান প্রাপ্তির বিষয়ে কোনোরূপ ভিন্ন দাবি কেউ করেননি।
প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল নামে কোনোদিনই কোনো বাস্তবভিত্তিক কোনো তহবিল ছিলো- এ জাতীয় ডকুমেন্টপ্রধানমন্ত্রীর দফতর হতে আসে নাই এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতর হতে কোনো অভিযোগও কেউ করেন নাই। নিয়মিত ও আইন বর্ণিত পন্থায় কোনো অডিটআপত্তিও বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হয় নাই।
আমাকে, জিয়া পরিবারকে এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে সম্পূর্ণরূপে হয়রানি করার প্রয়াস হিসেবেএবং রাজনীতি থেকে দূরে রাখার অপপ্রয়াস হিসেবে অনুমান নির্ভর ও কল্পিত অভিযোগে এই মামলায় মিথ্যা বর্ণনায় আমাকে জড়িত করা হয়েছে।
jagonews24