সাংবাদিক উৎপল দাস ফিরে এসেছেন

দীর্ঘ দুই মাস ১০ দিন নিখোঁজ থাকার পর পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন সাংবাদিক উৎপল দাস। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা এলাকায় তার বন্ধ মোবাইল ফোন সচল পাওয়া যায়। পরে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া যায় তিনি পরিবারের কাছে ফিরছেন।

উৎপলের বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, কিছুক্ষণ আগে তার মায়ের সঙ্গে উৎপলের কথা হয়েছে। সে এখন বাসায় ফিরে আসছে।

উৎপলের বন্ধু সমকালের সাংবাদিক রাজিব আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, রাত ১২টার দিকে কে বা কারা উৎপলকে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা এলাকায় রেখে যায়। রাজিব উৎপলের ব্যক্তিগত নম্বরে তার সঙ্গে কথা বলেছেন।

এর আগে বাবা চিত্তরঞ্জন দাস জানিয়েছিলেন, ১০ অক্টোবর দুপুরে ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ তার মায়ের কথা হয়েছিল মোবাইল ফোনে। এরপর বিকেল থেকে মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পাশাপাশি কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

উৎপল দাস পূর্বপশ্চিমবিডিনিউজের একজন সিনিয়র রিপোর্টার। পরিবারসহ কর্মস্থল থেকেও সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তাকে ফিরে পেতে গত সোমবারও ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন কর্মরত সাংবাদিকরা।

খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন আজ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আজ বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করবেন তার আইনজীবীরা।খালেদা জিয়া আজ সকাল ১১টার দিকে আদালতে উপস্থিত হবার কথা রয়েছে।

বুধবার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে জিয়া অরফানেজ মামলার আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য রয়েছে। এছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য জমা দেয়া ও এক আসামির সাফাই সাক্ষ্য দেয়ার দিন ধার্য রয়েছে।

খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আজ বুধবার খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করবো।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

এছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

jagonews

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin