সহসা কমছে না শীত, আছে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ

তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতিরও উন্নতি হচ্ছে। তবে সহসাই এই শীত যাচ্ছে না। পুরো জানুয়ারি মাসজুড়েই থাকবে শীতের প্রকোপ। এ মাসের শেষদিকে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে ফেব্রুয়ারির শেষদিকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আকাশে মেঘ না থাকায় বিকালের পরই দ্রুত উষ্ণতা কমে যাচ্ছে। হাওয়ায় কনকনে ভাব বেশি থাকায় এ বছর তাপমাত্রা নেমে যাওয়ার গতি বেশি। তবে গতকাল বুধবার থেকে সারাদেশে তাপমাত্রার উন্নতি হয়েছে।

প্রতিদিনই বাড়ছে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এভাবে দিন যতো যাবে, ততো তাপমাত্রা বাড়বে। তিনি আরও জানান, শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতির উন্নতি হলেও পুরো জানুয়ারি মাসজুড়েই শীতের প্রকোপ থাকবে। ফেব্রুয়ারি মাসে গিয়ে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। ওই মাসের শেষদিকে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শ্রীমঙ্গল, কুমিল্লা, সীতাকুণ্ড, ফেনী ও হাতিয়াসহ রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়া, ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২, ময়মনসিংহে ৯, চট্টগ্রামে ১২, সিলেটে ১১ দশমিক ৭, রাজশাহীতে ৭ দশমিক ৫, রংপুরে ৭ দশমিক ২, খুলনায় ৯ দশমিক ৩ এবং বরিশালে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

যেসব এলাকার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যহত থাকতে পারে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা উত্তর-পশ্চিমাংশে দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, জানুয়ারি মাসে সব মিলিয়ে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এছাড়া, ফেব্রুয়ারি মাসে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টির কারণে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমদিকে একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin