জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা উত্তর সাংগঠনিক জেলা আমির এখলাস উদ্দিন খান ও অঞ্চল টিম সদস্য আবুল হাসেম খানসহ জামায়াতের সাতজন নেতা-কর্মীকে আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় পবিত্র কুরআন শিক্ষার ক্লাস থেকে আশুলিয়া থানার পুলিশের গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, পবিত্র কুরআন শিক্ষার ক্লাস থেকে আশুলিয়া থানা পুলিশ তাদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে।
তারা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। সরকার জামায়াতে ইসলামীকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করার হীন উদ্দেশ্যেই সারা দেশে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে।
সরকার পবিত্র কুরআন শিক্ষার ক্লাস থেকে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে পবিত্র কুরআন শিক্ষায় বাধা দিচ্ছে। এর চেয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা আর কি হতে পারে? জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারের ইসলাম বিরোধী স্বৈরাচারী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, গোটা জাতি যখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে তখন সরকার নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির পরিবর্তে জামায়াতসহ বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে দেশের পরিস্থিতিকে অহেতুক উত্তপ্ত করছে।
এখলাস উদ্দিন খান ও আবুল হাসেম খান দু’জনই বয়বৃদ্ধ জননেতা। আবুল হাসেম খান দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমিরের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ৮০ বছরের অধিক বয়স্ক একজন জননেতা। তাদের পবিত্র কুরআন শিক্ষার ক্লাস থেকে এভাবে গ্রেফতার করার ঘটনা শুধু অন্যায়ই নয়, অমানবিকও বটে।
তিনি এখলাস উদ্দিন খানসহ সারা দেশে জামায়াতের গ্রেফতারকৃত সব নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
dailynayadiganta