যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা তারেক জিয়া সৌদি আরব সফরের অনুমতি চেয়েছেন। ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে পাঠানো এক চিঠিতে ‘শীতকালীন ছুটিতে স্বপরিবারের ওমরাহ পালনের অনুমতি চেয়েছেন এই রিফিউজি।
ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন বিভাগ তাঁর সৌদি আরব যাবার আবেদনটি বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে। তবে একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে, আসলে ওমরাহ নয়, সৌদি আরবে জিয়া পরিবারের জব্দকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্যই তারেক জিয়া সৌদি আরব যেতে চাইছেন।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক জিয়া আর রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে যান। ২০১৩ সালে তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে, তিনি আর নতুন করে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নবায়ন করেননি। ২০১২ সালেই তারেক জিয়া যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেন। যুক্তরাজ্য সরকার তাঁকে ৯ শর্তে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে তারেক জিয়া স্বপরিবারের ওমরাহ করার অনুমতি চেয়েছিলেন। সে সময় তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বেগম জিয়াও ঢাকা থেকে সৌদি আরব যান। সেখানে জিয়া পরিবারের পুনর্মিলনী হয়।
এবার অবশ্য বেগম জিয়ার সৌদি আরব যাবার কোনো খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তারেক জিয়া, তাঁর স্ত্রী এবং কন্যা সৌদি আরবে যাবার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী রিফিউজিরা বিশেষ প্রয়োজনে অন্যদেশে যেতে পারে। এসময় তাঁকে একটি ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেওয়া হয়।
সৌদি আরবে যখন দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চলছে এবং এই অভিযানে যখন জিয়া পরিবারের নাম এসেছে তখন তারেক জিয়ার আকস্মিক সৌদি আরব সফরের আগ্রহ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যেই সৌদি আরবে জিয়া পরিবারের নামে বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা বাংলাদেশি টাকায় অন্তত ৩০০ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
সৌদি আবর এবং মধ্যপ্রাচ্যে জিয়া পরিবারের ১২শ কোটি টাকার সম্পদের খবর পাওয়া গেছে। এই সম্পদ রক্ষার জন্যই কী তারেক জিয়া লন্ডন থেকে সৌদি আরব যাচ্ছেন। সৌদি আরবের একাধিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী বেগম জিয়া তার পরিবারের সম্পদ রক্ষার জন্য একটি ল ফার্মকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু তারেক জিয়া আশ্বস্ত হতে পারছেন না।
তারেক জিয়ার সুবিধা হলো যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে সৌদি সরকার কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে না। এখন যুক্তরাজ্য ইমিগ্রেশন বিভাগ তাঁকে সৌদি আরব যাবার অনুমতি দেবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার